আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছবি ব্লগ-৪৮ স্যান্ডউইচ


দুজনের মাঝে একজন পড়লে যে স্যান্ডউইচ হয় এটি সে স্যান্ডউইচের কথা নয়। খাবার স্যান্ডউইচ এরই কথা। সকালে নাস্তা করে বের হয়েছি। ভালই খেয়েছি। ঘোরাঘুরি তে খিদে যেন পেটে অস্বস্তি না দেয়।

যেখানে গেলাম, স্যান্ডউইচ দিল খেতে। আমি তো খাবো না। টিস্যু দিয়ে মোড়ানো, অগত্যা ধরিয়ে দিল। কি আর করা। একটা ব্যাগে নিলাম।

ভাবলাম ঠিক আছে। আপনা থেকে এসেছে যখন, থাকুক। কখনো কাজে লাগতে পারে। চলার পথে বাসে যাচ্ছি। পাশে একটি মেয়েশিশু ও তার মা বসা।

আমি মেয়েটির সংগে কথা বলছি। সেও সপ্রতিভ। হাসিখুশী কথা বলছে, চটপট উত্তর দিচ্ছে। পথে যেতে ছোটদের সাথে কথা বলা আমার অভ্যাস। তার হাতে একটি ভ্যানিটি ব্যাগ।

সাদা কালো চেক চেক। তার মায়ের হাতে এনার্জী জাতীয় বিস্কুটের প্যাকেট। সাধারণতঃ এ জাতীয় প্যাকেট বাচ্চাদের হাতে থাকে। তাদের মুখে খাবার থাকলেও হাতেও খাবার থাকে। মেয়েটি চেইন খুলে ব্যাগ থেকে বিস্কুট বের করলো।

দুটো নিজে নিল, দুটো মাকে দিল। আমি হাত বাড়িয়েছি। দেখি অপরিচিতের সাথে তার প্রিয় খাবার নিয়ে কি আচরন। হেসে আমায় বিস্কুট দিল দুটি। তার বিস্কুট খাওয়া শেষ হলে আবার বের করলো বিস্কুট।

মাকে দিয়ে আমাকেও দিল। আমি নিতে না চাইলেও গুঁজে দিল। খেতেও ইশারা করলো। ওর মুখে খাবার। একটু নরম হয়ে গেছে বিস্কুট।

তাও খেলাম। এবার আমার ব্যাগ থেকে স্যান্ডউইচ বের করে তাকে দিলাম। সে হাতে নিয়ে মহা খুশী। জানিনা সে আগে স্যান্ডউইচ দেখেছে বা খেয়েছে কিনা। টিস্যু খুলবে কি খুলবে না ভবতে লাগলো।

মায়ের দিকে উজ্জল চোখে তাকালো। মা বললো- তুমি উনারে খাওয়াইচো। এবার উনি তোমারে খাওন দিছেন, শোধবোধ। স্যান্ডউইচ পছন্দ করি। কতজনকে খাইয়েছি, খেয়েছি।

কিন্তু এই স্যান্ডউইচের ভাগ্যে এমন হাসি দেখবো ভাবিনি। আপনারাও দেখলেন, ধন্যবাদ।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।