আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেকড়ে,মুনিয়া কিংবা মানুষের এ শহরে

এখানে গাধাদের প্রবেশ করা নিষেধ

(উতসর্গ তাকে যে কান্না করলে আমার এ শহরে সুর্য উঠেনা) আজ সকালে রাস্তায় বের হতেই কোন কারন ছাড়াই একটি শিয়াল আমায় দেখে চিতকার করে গালি-গালাজ শুরু করে,গলির মুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কুকুরটি আমার পা কামড়ে দিতে আসে , একটি শূয়োর আমার জাম-কাপড় নোংরা করে দেয়,এরা আমার খুব পরিচিত,এরা এমন করবে তা আমি ভাবতে পারিনি। সভ্য এই নগরে অসভ্যদের উতপাতে আমার ভীষন মন খারাপ হয়,চোখ দিয়ে জল নেমে আসে ,যেন দশ হাজার বছর ধরে জমে থাকা জল এক মুহুর্তেই বেরিয়ে আসবে,ভেসে যাবে এই নগর......। ঠিক তখনি একটি মুনিয়া পাখি আমার কাধে এসে বসে আর কানে কানে বলে ,এই নগরতো তোমার,তুমি কেনো এই বর্বরদের ব্যাবহারে ব্যাথিত হচ্ছ,তুমিতো মানুষ,অমৃতের অধীশ্বর। তুমি জানোনা এদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আয় বাড়ে কিন্তু মানষিকতা নেমে যায় শুন্যের কোঠায় আর পরিনত হয় পশুতে। তুমি দেখনি স্বার্থের জন্য অদের জিহ্বার দৈর্ঘ্য দেহের দৈর্ঘ্যের চেয়েও দীর্ঘ হয়ে উঠেছে।

ওরা নিয়ম গুলিকে ব্যাবহার করে শুধু আপন স্বার্থে আর নিজেরা হয়ে উঠে অনিয়মের ঈশ্বর। এ শহর তোমার,এ শহর মানুষের,এ শহরে মাথা উচু করে হাটার অধিকার ,প্রান খুলে হাসার অধিকার শুধুই মানুষের। তুমি কেন ভেঙ্গে পরবে নেকড়ের গর্জনে,ওদের নাম বা নামের আগে-পরে ডীগ্রী বা পদবীর বাহার দেখে তুমি কেন ঘাবড়ে যাবে?তুমি জানোণা ওরা বিদ্বান হয়ে উঠে অর্থের জন্য,পদের জন্য, আর সুযোগ পেলেই বের করে দেয় হিংস্র দাত। তুমি দেখনা ওরা অতি ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্যও রাজা দের পা চাটতে দ্বিধা বোধ করেনা। তুমি ভেঙ্গে পরলে কিছুতেই হবেনা,তোমার চোখ হতে জল ঝরলে, এ শহরে যে নেমে আসবে প্রচন্ড বির্পযয়।

আমার মতো অসহায় মুনিয়া পাখিরা কিছুতেই বাচতে পারবেনা। তাই হাসো, প্লীজ হাসো,এমন ভাবে হাসো যেন হিংস্র নেকড়ে গুলি ভয়ে পালায় আর আমার মত মুনিয়া পাখিরা বেচে থাকে.........। । আমি অবাক হয়ে, আমার কাধে বসা পাখিটির দিকে তাকাই,মুনিয়া তখন মুচকি হেসে উড়াল দেয়,উড়ে যাওয়ার আগে ওর শরতের মেঘের মত কোমল পালক গুলি দিয়ে আমার অশ্রু বিন্দু গুলি মুছে দিয়ে যায়। আমি আবার হাটা শুরু করি…………..শিয়াল,কুকুর নেকড়েদের কোন তোয়াক্কা না করেই আমি হাটতে থাকি...।

আমি হাটি আর হাটি......... মনের আনন্দে হাটি, কারন এ শহর মানুষের,এ শহর আমার.................এ শহরে হিংস্র নেকড়েরা থাকে, ,আবার মেঘের মত কোমল মুনিয়া পাখিরাও থাকে...।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।