যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়। মানব ইতিহাসে মানবিকতার মূল মন্ত্রটুকু মূখ্যত মায়ের দেয়া। পুং অর্থনীতি এবং ইতিহাসের চেতনায় মানবিকতাকে প্রায়শই "সারভাইভের" বিপরীতার্থক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। কেমন যেন একটা নরমসরম বিষয়, ভালো কিন্তু সমীহ করার মত বিষয় নয়, অর্থাৎ কাজের জিনিস না আসলে।
যেমনটা ক্ষমতা, আধিপত্য, প্রতিযোগীতা, যুদ্ধ, ছিনিয়ে নেয়া, অর্জন ইত্যাদি। অনেকটা পিতা পিতা পুরুষ ক্যারেকটারের সাথে বেশি যায় যেন। হা হা হা। কিন্তু "সারভাইভাল" এবং "বিকাশ" উভয়ের জন্য ভালোবাসার যে অন্তঃশীল স্রোত বহমান থাকা দরকার সেটা অন্যা্ন্য সারভাইভাল টেকনিকের চেয়ে শ্রেয়তর এবং বুদ্ধিদীপ্ত। এটা কেবল জৈবিক সন্তান জন্মদানের বিষয় নয় বরং আরো বৃহত্তর অর্থে সামগ্রিক বেঁচে থাকার দর্শনকে ইঙ্গিত করে।
একা এবং সামষ্টিক উভয় অর্থেই। আমার কাছে বিষয়টা এমন- মা্নুষের সবচেয়ে গভীরতম অনুভূতি কিন্তু শান্ত এবং অতল; সহজে দুলুনি দেখা যায় না। আর দূর্বলতম অনুভূতির প্রকাশ সবসময়ই উচ্চবাচ্চ ও অতিশোয়াক্তিমূলক, সহজেই দৃশ্যমান এবং নির্বোধ চোখে-বেশি আকর্ষনীয়।
মা কে ধন্যবাদ যে তিনি অস্তিত্বশীল। কেবল আমার মা নন, সবারই।
তিনি না থাকলে মানব প্রজাতি প্রথমত সারভাইভ করতো না এবং মানুষের সর্বোচ্চ শুভ অনুভূতির ধারেকাছে যাবার যোগ্যতা তার হতনা। ফলে আপনি সত্যিকার অর্থেই সমীহ করার মত দর্শনের উৎস এবং ধারক। শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা আপনাকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।