বাঙ্গালীদের ধন্যবাদ।
মহাজোটের শরিক জাসদের সাংসদ শাহ জিকরুল আহমেদের সংসদ সচিবালয়ের কার্যালয় থেকে পুলিশ গতকাল সোমবার দুপুরে সাতজনকে আটক করেছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও দুজন পুরুষ। আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক ব্যক্তি টাকা নিয়ে তাঁদের সেখানে এনেছেন।
আটক নারীদের একজন জানান, নিজেকে মোল্লা সাইদুর রহমান বলে এবং সাংসদ শাহ জিকরুলের ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি সংসদ সচিবালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।
ওই ব্যক্তি তাঁদের আসতে বলায় তাঁরা কার্যালয়ে এসেছেন।
শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরের দিকে সাংসদ জিকরুলের কার্যালয়ে গিয়ে ওই সাতজনকে আটক করে। এ সময় সাংসদ ও তাঁর কার্যালয়ের কেউ সেখানে ছিলেন না। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংসদ সচিবালয়ে প্রবেশের ছয় মাস মেয়াদি জাল প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়েছে। তবে নিজেকে মোল্লা সাইদুর রহমান বলে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিকে অনেক খুঁজেও পাওয়া যায়নি।
পুলিশ আটক ব্যক্তিদের পরে সংসদ ভবনে স্পিকারের দপ্তরে নিয়ে যায়। তাঁদের বাসা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়।
সূত্র জানায়, বিষয়টি জানার পর স্পিকার আবদুল হামিদ সাংসদ শাহ জিকরুলকে ডেকে পাঠান। জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হকসহ আরও কয়েকজন সাংসদ এ সময় স্পিকারের দপ্তরে যান। সেখানে আলাপ-আলোচনার পর আটক সাতজনকে থানায় সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত হয়।
পরে বিকেলে তাঁদের শেরেবাংলা নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ হোসেন সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আটক সাতজনকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। আমাদের ধারণা, এঁদের মধ্যে দু-চারজন নিরীহ মানুষ আছেন। জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য শাহ জিকরুল আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।