আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলে গেলেন চারণ কবি শাহ বাঙালি মরনোত্তর একুশে পদক প্রদানের দাবি

তোমাকে ছাড়া বাচতে পারবো না.....

এপার ওপার বাংলার চারণ কবি মো. শাহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্বমুহুর্তে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহযোগী হিসাবে সমধিক পরিচিত। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় প্রীতিলতা সেন ও মাষ্টারদা সূর্য্যসেনের অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের পূর্ব থেকে গান গাইতেন। ভাষা আন্দোলনকে চাঙ্গা করার জন্য তিনি গান রচনা করেছিলেন। ভাষা আন্দোলনের সময় শাহ বাঙালির গানটি ছিল-ওরে বাঙালি/ভাষার তরে ঢাকার শহর/বুকের রক্তে রাঙ্গালি / আর কত দুঃখ সইবে বাঙালি । শাহ বাঙালি ছিলেন একাধারে চারণ কবি, গনসঙ্গীত শিল্পী, ভাষা সৈনিক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত শিল্পী, বঙ্গবন্ধুর জনসভার মঞ্চের নিয়মিত গায়ক ও গন জাগরনের নেতা।

তিনি সুশাসন, গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতীর প্রকৃত মুক্তির জন্য আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন। তিনি মুহুর্তের মধ্যে গান রচনা করতে পারতেন। শাহ বাঙালি রেডিও এবং টিভিতে কখনো ক্রিপ্ট জমা দিতেন না। তিনি নিজের কথা ও সূরে গান গাইতেন। এর ব্যতিক্রম কখনো ঘটাতেন না।

শাহ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর কমপক্ষে ৬৬ টি জনসভার মঞ্চে গান পরিবেশন করেছিলেন। তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মাতিয়ে রাখতেন পুঁথি পাঠ ও জাগরনের গান গেয়ে। বেতারের নিয়মিত শিল্পী হিসাবে সর্বশেষ প্রতিটি গানের জন্য ৩ হাজার ৬ শ টাকা সম্মানি পেতেন, যা ছিল বেতারের সর্বোচ্চ সম্মানি। তিনি প্রথম গান গেয়ে আলোচিত হন নিজ জন॥স্থান ইজ্জতপুর গ্রামে। গানটি ছিল- ‘ব্রিটিশ চলিলরে গাট্রি বোচকা লইয়া- বীর বাঙালি আসো সবাই তৈরী হইয়া’।

১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে সন্দ্বীপ ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টের সামনে আয়োজিত এক সঙ্গীত প্রতিযোগীতায় তিনি প্রথম হয়েছিলেন। ঐ প্রতিয়োগীতায় উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন ছাতা, হারিকেন ও টর্চলাইট। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে সন্দ্বীপ কার্গিল হাই স্কুল মাঠে নির্বাচনী জনসভায় গান গেয়ে আওয়ামী লীগের নেতা এম এ আজিজের দৃষ্টি কাড়েন। এরপর শাহ বাঙালিকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। একই নির্বাচনে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে গান গেয়ে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মনোযোগ আকর্ষন করেন এবং সোহরাওয়ার্দী তাকে নগদ ২ শ টাকা পুরষ্কার প্রদান করেন।

১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম হলে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর সাথে পরিচয় হয় মো. শাহ বাঙালির। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬ দফার সমর্থনে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থান জুড়ে প্রচারনা চালান তিনি। পশ্চিম পাকিস্থান সরকারের রোষানলে পড়তে পারেন এ আশংকায় দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মো. তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া শফি উল্লাহ নাম পরিবর্তন করে ছদ্ম নাম দেন শাহ বাঙালি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে “মুজিব বাইয়া যাওরে”, বিশ্ববাসীর কাছে রইল আবেদন বন্ধ কর বাঙালির উপর খানের নিযার্তন”, চলে বলে ২৪ বছর বাংলা খাইলা চুষি- জাতিরে বাঁচাইতে গিয়ে মুজিব হইল দোষী”, এ রকম না জানা শত গান তিনি গেয়েছিলেন। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড়ে শাহ বাঙালি সব বন্যায় ভেসে যায়।

১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের পট পরিবর্তনের পরও সরব ছিল শাহ বাঙালির। এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বস্ত্র মন্ত্রী আবদুল লতিফ ছিদ্দিকির মাধ্যমে গনভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। ফেরার সময় প্রধানমন্ত্রী শাহ বাঙালিকে ৫০ হাজার টাকার একটি প্যাকেট দেন। মন্ত্রী লতিফ ছিদ্দিকিও তাঁর পকেটে গুজে দেন ১০ হাজার টাকার একটি প্যাকেট। চলতি বছর দেশের এই ত্যাগী মানুষ মো. শাহ বাঙালির একুশে পদক পাওয়ার কথা বিভিন্ন মহলে ব্যাপক ভাবে আলোচিত হয়।

বিষয়টি তিনিও শুনেছিলেন। মনে করেছিলেন জীবদ্দশায় নিজের প্রাপ্য সম্মাননা নিজেই গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি পদকটি পাননি। তিনি ক্ষোভের সুরে সন্দ্বীপ লেখক ফোরাম এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সম্মানিত সদস্য কাজী শামছুল আহসান খোকনকে বলেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা চূড়ান্ত তালিকা প্রনয়নের সময় বাংলাদেশে থাকলে আমি নিশ্চয়ই মনোনীত হতাম। জীবদ্দশায় তিনি কোনো সরকারি সম্মাননা বা স্বীকৃতি আশা করেছিলেন-বর্তমান সরকারের কাছে।

মো. শাহ বাঙালি সন্দ্বীপে জীবন কাটাতেন মারাত॥ক অভাব অনটনে। ইজ্জতপুরের বাড়ি সাগর গর্ভে বিলীনের পর হরিশপুর লেমু হোসেনের বাড়ী সংলগ্ন রশিদ পেশকারের বাগিচাইয় দেড় কড়া জায়গা কিনে সেখানেই থাকতেন। হরিশপুরের বাড়িটিও নদী গর্ভে ভাঙার উপক্রম হয়েছে। কবিরাজি করে, বেতারে গান গেয়ে এবং মাস শেষে পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিয়ে চলত তার জীবন। বড় সংসার অভাব ছিল সেখানে নিত্য সঙ্গী।

অভাবের কারণে ছেলে মেয়েদের তেমন পড়ালেখা করাতে পারেননি। এখনও তার ২ মেয়ে অবিবাহিত। ছেলেরা কাজ পেলে করে নইলে বেকার। তাঁর মৃত্যুর পর এই বিশাল পরিবারও পড়ে গেছে মহাসংকটে। মো. শাহ বাঙালির কানে কম শোনা ও চোখের সমস্যা ছাড়া তেমন কোনো অসুখ বিসুখ ছিল না।

গত রমজান মাসে সন্দ্বীপের বিছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচরে সড়ক দুঘর্টনায় বড় ছেলে হুমায়ুন বাঙালির তৎক্ষনাত মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন তিনি। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তায় হঠাৎ করে তিনি অসুস্থতা অনুভব করেন। ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে যাওয়ার পর সিএসসিআরে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জামাল আহমদের কাছে নিয়ে যান তার বন্ধু প্রাবন্ধিক মহসিন কাজী । ডা. জামাল আহম্মেদ তার পরিচয় পেয়ে যথাযথ সম্মান করেন এবং বিনা ফিতে চিকিৎসা করেন। এমনকি ৩০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্টে পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেন।

ওই দিন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে পরদিন ডাক্তার দেখিয়ে তিনি সন্দ্বীপ চলে আসেন। ১২ অক্টোবর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে মো. শাহ বাঙালিকে সন্দ্বীপ সেন্ট্রাল কি¬নিকে নিয়ে যান সন্দ্বীপ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর উল্যা টিটু । সেখানে অবস্থা আরও খারাপ হলে ১৫ অক্টোবর দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ভর্তি করা হয় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানেই এক ধরনের বিনা চিকিৎসায় পরদিন রাত সাড়ে ১২ টার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বাঙালি জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান মো. শাহ বাঙালি।

দেশ বিদেশ খ্যাত এ গুণী শিল্পী মো. শাহ বাঙালির আসল নাম মো. শফি উল্লাহ। তিনি ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম জেলার সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন উপজেলা সন্দ্বীপের ইজ্জতপুর ইউনিয়নের রূহিনী গ্রামে জন॥গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. খুরশীদ আলম মিয়া। তিনি সংগীত অনুরাগী ছিলেন এবং স্বরচিত গান গাইতেন। ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে মো. শফি উল্লাহ ছিলেন তৃতীয়।

তাঁর অপর ভাই নৌ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনায়েত উল্লাহ। ৬ ছেলে ও ৭ মেয়ের জনক ছিলেন মো. শাহ বাঙালি। তিনি বিয়ে করেছিলেন ৩ টি। একজন মৃত্যুবরণ করেন। দ্বিতীয় জনের সাথে সম্পর্ক নেই।

জীবনের শেষ সময় কেটে ছিল তৃতীয় জনের সাথে। ইজ্জতপুর বোর্ড স্কুলে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন তিনি। দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় বাবার উৎসাহে ছন্দ মিলিয়ে গান রচনা এবং নিজের সুরে গাওয়ার বিষয়টি আয়ত্ত করেন। দেশের এই বিশিষ্ট শিল্পী চট্টগ্রাম গেলে থাকতেন পুরাতন গীর্জার ৫০ টাকা ভাড়ার গির্জা বোর্ডিং এ। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মো. শাহ বাঙালির আকস্মিক মৃত্যুতে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র-সন্দ্বীপ শাখা ও সন্দ্বীপ সাহিত্য সংসদের যৌথ উদ্যোগে শোক ও আলোচনা সভা ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়।

সন্দ্বীপ উপজেলার এনাম নাহার হাই স্কুল মোড় মোহাম্মদ মিয়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র সন্দ্বীপ শাখার প্রধান সংগঠক মাষ্টার আবুল কাসেম শিল্পী। বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মো. আলী খসরু, দেলোয়ার হোসেন সন্দ্বীপি, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর উল্যা টিটু, কবি কাজী শামছুল আহসান খোকন এবং সন্দ্বীপ লেখক ফোরাম এর চেয়ারম্যান প্রভাষক ও সাংবাদিক মুকতাদের আজাদ খান প্রমুখ। চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে মোবাইল ফোনে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক স্বাধীনতা প্রদক প্রাপ্ত কবি বেলাল মোহাম্মদ, কবি বেগম মুশতারী সফি, আবদুল জলিল। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবিএম ছিদ্দিকুর রহমান,প্রভাষক সিরাজুল মাওলা, দিদার বাঙ্গালি, কামাল উদ্দিন তালুকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মডারেটর এর দায়িত্ব পালন করেন প্রভাষক ফসিউল আলম।

এ শোক সভায় বক্তরা বলেন শাহ বাঙালি সন্দ্বীপ সমিতি-ঢাকা, ফ্রেন্ডস সার্কেল এসোসিয়েশান, শিশু একাডেমি-চট্টগ্রাম প্রভৃতি সংগঠন কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছিলেন। স্মরণ সভায় সন্দ্বীপবাসীর পক্ষে প্রভাষক ও সাংবাদিক মুকতাদের আজাদ খান মো. শাহ বাঙ্গালিকে মরনোত্তর একুশে পদক প্রদানের জন্য সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানান। প্রসঙ্গতঃ মো. শাহ বাঙালি স্মরনে আয়োজিত শোক সভাটির পৃষ্টপোষকতা করে মোহাম্মদ মিয়া ফাউন্ডেশন। অপরদিকে শিক্ষা, সহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সন্দ্বীপ লেখক ফোরাম এর আয়োজনে বাংলার চারণ কবি ও গণজাগরণের নেতা মো. শফি ওরফে শাহ বাঙালি স্মরনে অপর এক শোক সভা ২৭ অক্টোবর বিকেলে পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন সন্দ্বীপ লেখক ফোরাম এর চেয়ারম্যান প্রভাষক ও সাংবাদিক মুকতাদের আজাদ খান।

বঙ্গবন্ধুর জনসভার নিয়মিত গায়ক মো. শাহ বাঙালির বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন প্রবীন কবিয়াল ও শিক্ষক কে এম আজিজ উল্যা, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র সন্দ্বীপ শাখার প্রধান সংগঠক মাষ্টার আবুল কাসেম শিল্পী, প্রাবন্ধিক ডা. আতাউল হাকিম, কবি কাজী শামছুল আহসান খোকন, সন্দ্বীপ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর উল্যা টিটু, পূর্ব সন্দ্বীপ হাই স্কুল পরিচালনা পরিষদ সদস্য মাষ্টার কামাল উদ্দীন তালুকদার, সন্দ্বীপ সাহিত্য সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল রায় স্বাধীন, সোনালী সন্দ্বীপ পাঠক ফোরাম সন্দ্বীপ শাখার সভাপতি আসিফ আকতার, প্রভাষক ফসিউল আলম, সন্দ্বীপ লেখক ফোরাম এর যুগ॥ মহাসচিব নূরুন নবী রুমী, মাসিক সোনালী সন্দ্বীপ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন মনি প্রমুখ। একুশে পদকের জন্য মনোনিত মো. শাহ বাঙালি স্মরনে শোক সভাটি পরিচালনা করেন শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সন্দ্বীপ লেখক ফোরাম এর মহাসচিব সাইফুল ইসলাম ইনসাফ। শোক সভায় বক্তরা বলেন, মো. শাহ বাঙালি বঙ্গবন্ধুৃর ৬৬ টি জনসভার মঞ্চে নিয়মিত গান পরিবেশন করেছিলেন। বক্তরা আরো বলেন, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার শান্তি নিকেতনে আয়োজিত প্রতিযোগীতায় তিনি প্রথম হয়েছিলেন। ঐ সময় কলকাতার ৪ টি স্থানে তাঁকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রামের ডিসি হিল পার্কে ও সম্প্রতি সিলেটের শাহজাহান উল্যাহ পাওয়ার জেনারেশন নামের একটি কোম্পানি তাঁকে সংবর্ধনা দেয়। এছাড়া ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে এপার ওপার বাংলার শিল্পীদের যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত লোক উৎসবে ওপার বাংলার শিল্পীরা মুলতঃ শাহ বাঙালির গান পরিবেশন করেছিল। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের স্বরচিত পুঁথি পাঠক মো. শাহ বাঙালি স্মরনে আয়োজিত শোক সভাটি পৃষ্ঠপোষকতা করে সন্দ্বীপের অভিজাত পুস্তক বিপনী কেন্দ্র মেসার্স শিক্ষক লাইব্রেরী। সন্দ্বীপের সাবেক সংসদ সদস্য আলহা্‌জ্ব মুস্তাফিজুর রহমান জীবিত থাকাকালে প্রতি মাসে তাঁকে ২ হাজার টাকা সম্মানি দিতেন। মুস্তাফিজের মৃত্যুর পর কাতার প্রবাসী সমাজকর্মী নুরুল মোস্তফা খোকনও তাঁকে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা সম্মানি দিতেন।

বাঙালি জাতি সত্ত্বার মূল ভিত্তিই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করতে শাহ বাঙালির অবদান অপরিমেয়। বর্তমান সরকারের কাছে দেশবাসীর একটাই প্রত্যাশা মো. শাহ বাঙালিকে মরনোত্তর একুশে পদক দেওয়া হউক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।