আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইভ টিজিং এবং আমাদের কর্তব্য

আমি একজন সাধারণ মানুষ

আমরা আজ এমন এক সময়য়ে এসে দাড়িয়েছি যেখানে সামাজিক অবক্ষয় চরম মাত্রায় বেড়ে গেছে। আমাদের সামনে বর্তমানে যে সামাজিক সমস্যাটা মহামারি আকারে হাজির হয়েছে তা হল ইভ টিজিং। নানা রকম আইন, আন্দোলন, বক্তব্য দিয়েও এই সমস্যা সমাধান করা যাচেছ না। আমাদের সকলের বিষয়টির শুরু এবং এর গভিরতা উপলব্ধি করা খুবই জরুরি। আমরা সব সময়ই কোন একটি সমস্যা সামনে আসলে তা নিয়ে কয়েকদিন খুব আলোচনা করি পরবর্তীতে তার কোন আর খবর থাকে না।

যেমন: নদী দখল, অবধৈ স্থাপনা, দুর্নীতি ইত্যাদি সমস্যা। প্রায়ই দেখা যায় একটি দালান ধসে পরার পর মিডিয়াতে কিছু লিখা আসে । দায়িত্ব রত ব্যক্তিগন দায়সারা বক্তব্য প্রদান করেন এবং কিছুদিন পরে তার আর কোন হদিস থাকে না। অথচ যখন একটি দালান তৈরি হতে থাকে তখন দায়িত্বরত ব্যক্তিরা তার সঠিক তদারকি করলে ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনা সহজেই এরানো যায়। যাই হোক লিখা খুব বেশী বড় না করে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করব।

এবং যারা ব্লগে প্রথিতযশা লেখক আছেন শুধু মাত্র পুরুষকে দায়ী না করে সামগ্রিক ভাবে ভাল লিখা পোষ্ট করবেন আশা কারি। কেন আমাদের এই সামাজিক অবক্ষয়? কোন শ্রেণীর নারী ও পুরুষ এই কাজ গুলি বেশী করছে? এবং এর সঠিক সমাধানের পথই বা কি? এর জন্য কি শুধু ছেলেরাই দায়ী? আমাদের মেয়েরা কি কিছুটা দায়ী না? হ্যা আমি মানছি গ্রামের সহজ-সরল মেয়েটি দায়ী না ঠিক! কিন্তু নিজেকে প্রকাশ করার জন্য যারা উগ্রভাবে জীবনযাপন করেন , যাদের দেখে আমাদের সরল মন নেচে উঠে তারা কি কোন অংশে দায়ী না? অনেকে অনেক কিছু বলবেন। আমি বলব যাদের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ নাই তারাই এই কাজটি বেমী করে। (সকল ধর্ম, ) উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ডিগ্রি নিয়েও দেখা যায় ইভটিজিং এর সাথে জড়িয়ে পরছে। অথচ আমি ব্যক্তিগত ভাবে দেখেছি, ছোট বেলা হতে ধর্মীয় শিক্ষা (সাধারণ শিক্ষায় লিখা পড়া করেছে এমন ) গ্রহন করেছে এমন ছেলেরা কখনই কাউকে টিজিং করে না ( সামান্য ব্যতিক্রম থাকতে পারে)।

তবে বর্তমানে আমেরিকান স্টাইলে ভাল হওয়া সর্তেও শুধু মাত্র দাড়ি, টুপি হওয়ায় তার দিকে সাবাই বাকা চোখে তাকায়। এটা কি আমাদের ঠিক? যা হোক বেশী কথা না বলে আমি একটি কথাই বলব- ইভটিজিং এর একমাত্র প্রতিশেধক হল ধমীয় মুল্যবোধ তৈরী করা। পাশাপাশি বিশুদ্ধ বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। খেলার মাঠ রক্ষা করে ছেলে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা দিতে হবে। আর পাশাপাশি অভিবাবকদের উচিত সন্তানদের সময় দেয়া।

তবে অনেকে আছেন ধর্মের কথা শুনলেই এর বিরোধীতা করেন তাদের কথা বাদ। পূর্বের একটি লিংক, যারা আগে দেখেন নাই শুধু মাত্র তাদের জন্য_ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।