সেই চিরবিদ্রো.... যে লড়াই , কখনো শেষ হয়না....
ইভ টিজিং!
সবাই ভাবছে। বিরক্ত সকলেই। ভুক্তোভুগির কষ্টেরতো কোন সীমা পরিসীমা নেই। কেউ কেউ পরিত্রানের কথা ভাবছে! কেউ কেউ কার্যকারণ খুজছে! কেউ নারীর উগ্রতাকে দায়ী করছে! কেউ ধর্মকেই একমাত্র সমাধান ভাবছে!
আচ্ছা এর বাইরেও কি ভাবনা নেই?
মুসলিম নারী না হয় ইসলাম হিজাব দিয়ে চেষ্টা করবে; কিন্তু আরও যে ধর্মাবলম্ববী আছেন, সনাতন, বৌদ্ধ, খ্রীস্ট্রিয়, অন্যান্য তারা কি করবে? তাদের নিরাপত্তা কি ভাবে রক্ষিত বা নিরপাদ হবে বা রবে? আবার হিজাব থাকার পরও ধর্ষিতা বা টিজিং এর শিকার নারীর সংখ্যাও কম হবে না বোধকরি (জরিপ প্রয়োজন)।
ছাড়ুন...
আচ্ছা সুস্থতা এবং জ্ঞানের ব্যাপারে কি বলবেন?
কেউ কেউ খাদ্যাভাব আর যৌনতার অভাবকে গুলিয়ে বিভিন্ন যুক্তি দিচ্ছেন যা বাহ্যত আকর্ষনীয় মনে হলেও মূলে অসার।
খাদ্যাভাবের যে মৌলিকত্ব বা প্রয়োজনীয়তা যৌনতা, মাত্রায় অন্তত সেইরকমটি নয়। এটাও প্রয়োজন বৈকি! তবে নিয়ন্ত্রন যোগ্য। খাবারে যেটা কম বেশি করা গেলেও কোন নিয়ন্ত্রনেরই কোন উপায় নেই। খাবার-এটা মাষ্ট!
যৌনতা কিন্তু তা নয়! রবীঠাকুরের চিরকুমার সভা বাদেই সমাজে আশেপাশেও অনেক চিরকুমার আছেন, দেখেছেন, পাবেন যারা জীবেনর সুদীর্ঘ সময় যৌনতা ছাড়াই পার করে, দিব্যি সুস্থ বেচে বর্তে আছেন।
এইখানে প্রশ্ন আসতেই পারে-
আমার অভাব বোধ আর আমার উদগ্র কামনার মাঝখানে সীমারেখা টানার কি প্রয়োজন নেই??? যৌন প্রয়োজনের চেয়ে
টিজিং এর পেছনে যে কুরুচি, আত্ম স্বার্থপরতা, উগ্রতা, অহংকার, লোভ, ক্ষমতার দম্ভ প্রত্যক্ষ এবং প্রচ্ছন্ন প্রভাবক তার নিয়ন্ত্রন কি জরুরী নয়।
কিংবা কারও নব যৌবনের আতিশয্য- সেটাও কি তার নিজের ব্যর্থতা বা অপরাধ নয়। সমাজ তো আর ব্যক্তিকে ছাড়া নয়। ব্যক্তিই যেকানে সমাজের নিয়ামক- তো শুরু হোক সেই ব্যক্তির সুদ্ধতায় সমাজ শুদ্ধতার আলোকময় শুভযাত্রা।
কারও কারও মতে-
সমাজ দোষী, ইমপোর্টেড কালচার দোষী, আদালত দোষী, নারী দোষী.(স্রেফ তার পোষাকের জন্য)....
আমি প্রশ্ন করতে পারি কি? -
-আমি কি একটুও দোষী নই????????????
কারণ সবগুলোর উপযোগীতা কিন্তু আমার মাধ্যমেই। তবে আমিইবা কেন ভাসমান পানা হয়ে আঙুল উচিয়ে শুধূ অন্যের দোষই খুজে বেড়াব।
!!!!!
আমার জ্ঞান, বিবেক তবে কোনদিন কাজে আসবে???
আমার জ্ঞান কি আমাকে প্ররোচিত করে নারী দেখা মাত্রই লুলুপ হতে?!! আমার শিক্ষা কি আমাকে প্রলোভিত করে নারী দেখা মাত্রই তাকে ভোগ করতে?!!!
সাইক্রিয়াটিষ্টরা বলতে পারবেন এই রোগের কি নাম! তবে মোটা দাগে আমরাও তাকে লুল বলেই জানি। এক্ষনে এই লুলের লুলামীর জন্য লুল নিজেই দায়ী এবং দোষী। সে অন্য অযুহাত গুলো ব্যভহার করছে কেবলই তার নিজের অন্যায়, কদর্যরুপটাকে আড়াল করার জন্য।
সব শেষে রইল ধর্ম।
ধর্মতো নিজে ঔষধ না .. ধর্ম আপনার সেই বোধকে জাগিয়ে দেয় মাত্র... জ্ঞান আর বিবেকের সুস্থতাবোধ, রুচিবোধ, মানবতাবাদী বোধ গুলোর সুপ্ত অবস্থা থেকে জাগ্রত করে প্রতিষ্ঠিত করে মাত্র।
যার বিকাশের মাধ্যমে আপনি নিজে সুস্থ সুন্দর থাকবেন। সমাজকেও সুস্থ সুন্দর থাকতে সহায়তা করবেন।
তাই আসুন ধর্ম অর্ধম, সর্বধর্ম সকলের জন্য গ্রহনযোগ্য মূল মন্ত্রকে ধারন করি। অরুচিকর, কদর্য, ঘৃনাযোগ্য কাজ গুলৌ পরিহার করি। লোভ, অহংকার, দম্ভ, ঘৃনা, মূর্খতাকে ঝেড়ে ফেলে সুস্থ সুন্দর একটা সমাজ বিনির্মানে সকল নারী পুরুষ হাতে হাত রেখে ভাবনাকে বদলে নেই - আসুন সবাই জ্ঞান আর বিবেক দ্বারা পরিচালিত হই।
সুস্থ সুন্দর রুচিকর দৃষ্টিভঙ্গি ধারন করি।
সমাজ থেকে বহু অপকর্ম আপনাতেই হারিয়ে যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।