আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইদি আমিন

নিজেকে পৃথিবীর তাবৎ পশু ও সমুদ্রের মৎস্যকুলের অধিশ্বর বলে দাবি করতেন। দাবি করতেন, তিনিই আধুনিক যুগের প্রেসিডেন্ট। বিংশ শতাব্দীর সত্তর দশকে এমন হামবড়া ও বাচাল শাসকের আবির্ভাব ঘটেছিল আফ্রিকান দেশ উগান্ডায়। যার কথা বলছি তিনি আর কেউ নন_ ইদি আমিন। বলা হয়, তিনি ছিলেন একজন স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট ও ফিল্ড মার্শাল।

প্রাইমারি স্কুল না ডিঙানো এই শাসক নিজেকে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী হিসেবেও দাবি করতেন। ১৯৭১ সালের ২৫ জানুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন জেনারেল ইদি আমিন। কেনিয়ায় ব্রিটিশবিরোধী বিদ্রোহ দমনে ভূমিকা রাখেন তিনি। এমনকি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে বার্মায় যুদ্ধও করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ জানুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে উগান্ডার ক্ষমতায় বসেন ইদি আমিন।

কেউ কউ বলেন, দেশের শীর্ষ সোনা এবং কফি চোরাচালান ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন এই জেনারেল। ক্ষমতায় এসে ইদি আমিন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর স্বদেশীদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে উগান্ডার ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল মূলত ভারতীয় ও ব্রিটিশদের অধীনে। ইদি আমিন রাতারাতি তার দেশ থেকে তাদের বের করে দেন। ঔপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশরা উগান্ডাবাসীর ওপর যে অপমানজনক ব্যবহার করেছে, ইদি আমিন নানাভাবে তার বদলা নেন।

তিনি একবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে তার জন্য জুতা সরবরাহের অনুরোধ করেন। পালকিতে করে তিনি শ্বেতাঙ্গদের ঘাড়ে চড়েও সুখ মেটাতেন। তার স্ত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় এক ডজন। এক সুন্দরীকে ইদি আমিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বসান। তার প্রতি প্রেসিডেন্টের কুনজর পড়লে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাঁচেন।

সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় ২০০৩ সালের ১৬ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন উগান্ডার এই স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।