With Great Power Comes Great Responsibility.... একজন মাহমুদুর রহমান এবং একজন আদিলুর রহমান.... প্রথম নামটা সবারই শোনা, মাহমুদুর রহমান। বাংলাদেশ সংবাদপত্র জগতের পথ্বিকৃত, সাংবাদিক জেমস বন্ড, অকুতোভয় ইত্যাদি বিশেষণ তার নামের সাথে বেশ মানান সই অনেকের কাছে। এই অকুতোভয় মাহমুদুর রহমান একটি পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। মূল সম্পাদক কিন্তু নন। এই ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হবার আগে তিনি ছিলেন একটি দলের জ্বালানী বিশেষঙ্গ এবং বহুল আলোচিত উত্তরা ষড়যন্ত্রের হোতা।
সামরিক সরকারের সময় যখন রাঘব বোয়াল বন্দী তখন এই চুনোপুটি ধুরন্ধর মাহমুদুর রহমানদের এমন একটি স্পর্শকাতর পদবি অর্থাৎ পত্রিকার সম্পাদক অবস্থানের পিছনে ঘাপটি মারা প্রমানিত একটি সফল কৌশল। গ্রেফতার এড়াতে বা গ্রেফতার হলে পত্রিকা সম্পাদক গ্রেফতার এমন সমালোচনা/চাপের মুখে মুক্ত হওয়ার কৌশলেই তিনি হয়ে যান পত্রিকার সম্পাদক।
একজন আদিলুর রহমান। বিএনপি তথা হেফাজত ঘটনার সকাল থেকেই প্রচার শুরু করলো ২৫০০ থেকে ৩০০০ নিহিত এবং লাশ গুম... এখনো অনেকে বিশ্বাস করে এই সংখ্যা কম-বেশি সঠিক। ডিজিটাল এই যুগে যখন এনালগের মত সম্প্রচার মাই টিভি, দিগন্ত টিভি আর ইসলামিক টিভির।
এই এনালগদের যখন সব প্রযুক্তিই নেই দৈনন্দিন অনুষ্ঠান সম্প্রচারের তখন বাজারে গুজব দিগন্ত টিভি আর ইসলামিক টিভি নাকি সরাসরি সম্প্রচার করছিল পুলিশের মতিঝিল অপারেশন! তাই এসবের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে! ঈদের ২দিন আগে একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা জানালো, ঐ মাচ কিলিং এর ঘটনা ছিলো অতিরন্জিতভাবে প্রকাশ করা এবং প্লানড গুজব আসলে যার কোনো ভিত্তি নেই।
মানবাধিকার সংস্থার আদিলুর রহমান গবেষণা করে বের করলেন ৬১ জন নিহিত। সরকার তাকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইলেন ‘শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিহতের সংখ্যা নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ও ঘটনা জনগণের সামনে প্রকাশে সরকার আন্তরিক। ৬ ও ৭ মে নয়া দিগন্ত, সংগ্রাম, ইনকিলাবসহ অন্যান্য জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ১৬ জনের বেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ’ তিনি অনুসন্ধান করলেন, সংখ্যা প্রকাশ করলেন অথচ বিশদ বিবরণে তিনি অপরাগ!
তার গ্রেফতারে যেসকল আন্তর্জাতিক সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তারা কি একবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার কৃত কর্মের জন্য?
আন্দোলনকারিকে পুলিশ লাঠি চার্জ করলে মানবাধিকার লংঘিত হয় কিন্তু পুলিশকে লাঠি মারলে, ঢিল ছুরলে, মাথা ফাটালে মানবাধিকার লংঘিত হয়না??
ব্লগার গ্রেফতার হওয়া মানে ব্লগের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়, সম্পাদক গ্রেফতার হওয়া মানে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ নয়, মানবাধিকার কর্মী গ্রেফতার হওয়া মানে মানবাধিকার লংঘন নয়।
ব্যাক্তি দোষ বা উদ্দেশ্যপ্রোনোদিত কোন কারণের ব্যাখ্যায় সমগ্র প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে বলি দেওয়া কি উচিত হবে! মনে রাখতে হবে With Great Power Comes Great Responsibility.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।