মঙ্গলবার বিকালে হোটেল রেডিসনে আইসিসি ও বিসিবির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন এ কথা জানান। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান এ সময় তার পাশেই ছিলেন।
এই নয় জনের মধ্যে সাত জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
রিচার্ডসন জানান, বিসিবির দুর্নীতি বিরোধী কোড অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আগ পর্যন্ত এই নয় জনের নাম প্রকাশ করা হবে না।
বিসিবির ক্রিকেটার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুর্নীতি বিরোধী নীতিমালার আওতায় এই অভিযোগগুলো আনা হয়েছে।
অভিযোগগুলোর মধ্যে আছে, বিপিএল এর ফ্রাঞ্চাইজি ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স এর দলে ম্যাচ পাতানোর ষড়যন্ত্র, ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিং করা এবং ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এ সম্পর্কে না জানানো।
অভিযোগগুলো এরই মধ্যে অভিযুক্তদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলে রিচার্ডসন জানান। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপরাধ দেখার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছে তিনি।
রিচার্ডসন জানান, নয় জনের মধ্যে সাত জন বিরুদ্ধে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার সরাসরি অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের উপর বিসিবির নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৬ অনুযায়ী ৫ বছর থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
বাকি দু'জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ম্যাচ ফিক্সিংয়ে প্রস্তাব পাওয়া বা জানা সত্ত্বেও তারা নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তারা ১ থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন।
বিপিএলের দ্বিতীয় আসরকে বাজিকরদের কালো থাবা থেকে বাঁচাতে আকসুকে তলব করে বিসিবি। ফাইনালের পরদিনই কয়েকটি ম্যাচ এবং ক্রিকেটারসহ কয়েকজনের আচরণ সন্দেহজনক বলে প্রতিবেদন জমা দেয় তারা। সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পর ১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকায় অধিকতর তদন্তের জন্য আকসুর সঙ্গে চুক্তি করে বিসিবি।
আকসুর প্রতিবেদন দেয়ার সময়সীমা বেশ ক’বার বাড়ানো হয়। নতুন নাম যোগ হওয়ায় বাড়ে তদন্তের ব্যাপ্তিও। তদন্তের জন্য অন্তত ছ’বার বাংলাদেশ সফর করে আকসুর প্রতিনিধি দল। খোদ আইসিসির বোর্ড সভায়ও অধিকতর তদন্তের পরামর্শ দেয়া হয়।
বিসিবি তদন্ত অব্যাহত রাখার কথা জানালে কাজ চালিয়ে যেতে থাকে আকসু।
দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
স্বীকারোক্তি দেয়ার পর গত ৪ জুন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আশরাফুলকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে বিসিবি। সেদিনই ম্যাচ পাতানোয় জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান সর্বকনিষ্ট টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।