বসন্তে মাতাল আমি এক অপূর্ণতা ... খুব ছোটতে তখন স্কুলেও যেতাম না, তবু সেই সময়ের কিছু স্মৃতি সৌভাগ্যক্রমে আমার মস্তিস্কে স্থান করে নিয়েছে। আমাদের পাশের উপজেলা সৈয়দপুর, আমার চাচার বাসা। তো আমাদের বড় কোন আনন্দের ঘটনা হলো চাচার বাসায় বেড়াতে যাওয়া।
বছরে এই বিশাল আনন্দের ব্যাপার ঘটতো তিন থেকে চার বার। সেই সময় সেখানে যাওয়ার একটা শাটল ট্রেন ছিল।
যেহেতু রেল কারখানা সেহেতু পার্বতীপুরের চাকুরীজীবিদের জন্য এই শাটল ট্রেন। অনেক ভোরে উঠে মা খাবার তৈরি করতো।
এরপর আমাদের উঠিয়ে দ্রুত জামাকাপড় পরিয়ে রওনা হতো। সবচেয়ে বড়কথা হচ্ছে চাচার বাসা বেড়াতে যাওয়া যতটা না আনন্দের তার চেয়ে কষ্টের ছিল একদিনের বেশি সেখানে থাকা। একবার মা বড়ভাই, বোন সহ গেছে সেখানে বেশ কয়েকটা জরুরী কাজের জন্য কিন্তু আমার জ্বালাতনে মা একদিনের মাথায় ফিরে এলেন।
একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি 'মা' পাশে নেই। আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। কারন আমার ঘুম ভাঙ্গানোর মহান দায়ীত্ত্ব পালন করতেন আমার মা। ঘুম উঠে মা কে না দেখার পর আমার তারস্বরে কান্নায় এলাকাবাসী ভীড় করে আমাকের বোঝানো হয় যে মা কিছুক্ষনের মধ্যেই ফিরে আসবেন।
মা দুপুরের মধ্যেই ফিরে আসে।
আমি মায়ের উপর ঝাপিয়ে পড়ে খামচাখামচি শুরু করে দেই একই সাথে কান্না। মা বোঝালেন বড় ভাইকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর কথা দিলেন যে কোনদিন আমাকে রেখে কোথাও যাবেন না।
আমার এসএসসি এবং ইন্টার পরীক্ষার সময় মা অনেক কষ্ট করেছেন। রাত জেগে চা করে দিতেন।
আমি একা ঘরে পড়ি। কখনো জোরে জরে কখনও আসতে। পড়ায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায়। হঠাত পিছনে তাকিয়ে দেখি মা বসে আছেন। রাত আড়াইটা তিনটা অথচ মা ঘুমান নি।
আজ মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবস। মাকে ঘিরে একটি কথা বুকের মাঝে জমে আছে, মাকে রেখে অনেক দুরে আছি 'মা তোমায় কত ভালোবাসে তোমার সন্তান তুমি জানবে না'
পত্রিকা লিঙ্ক- 'মা তুমি যেটা জান না'
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।