আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক চিঙ্কু বাম শাহবাগী নাস্তিক ব্লকারের মুজিব প্রিতি

আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া সন্ধানো করিয়া স্বপ্নেরও পাখি ধরতে চাই আমি স্বপ্নেরও কথা বলতে চাই আমার অন্তরের কথা বলতে চাই...

আজকে যেই একটা স্ট্যাটাস দেবে, বিপদে পড়বে। দিলেন তো পড়লেন, আপনি হয়ত সারাদিন সরকারের তুলাধুনা করেন......... রামপাল কিংবা সরকারের শিক্ষা বানিজ্য নিয়া আন্দোলন করেন। মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার কণ্ঠ তোলেন, বিশ্বজিৎ হত্যার দায়ে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার দাবী তোলেন, ফেলানি হত্যার বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে পিটিশন দেন, মখার মত হাম্বালিগের ছুপা রাজাকারদের বিচার দাবী করেন, কিন্তু যদি একবার ভুল করেও বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে সম্মান জানিয়ে একটা শব্দ লেখেন......আপনি নিশ্চিত হাম্বালিগের দালাল। আমার মত পেইড দালালদের দিয়ে হাম্বারা লেখায় না, একজন খুব বিখ্যত পেইড লেখক হুমায়ুন আহমেদ থেকে কিছুটা ধার করি। "উজবেক তরুণী ডোরা রাসনা এই অসম্ভব রূপবতী তরুণী রবাব নামের এক বাদ্যযন্ত্র নিয়ে এসেছে।

সে একজন গায়িকা ও গীতিকার। সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি গান রচনা করেছে। গানটি শোনাতে চায়। বঙ্গবন্ধু আগ্রহ নিয়ে গান শুনলেন। গান শুনে তাঁর চোখ অশ্রুসিক্ত হলো।

তিনি রুমালে চোখ মুছলেন। ডোরা রাসনা বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে বসে বেশ কিছু ছবি তুলল। বঙ্গবন্ধু ডোরা রাসনাকে উপহার হিসেবে রুপার একটি নৌকা দিলেন। উজবেক তরুণীর গানের কয়েকটি চরণ: তুমি বঙ্গের বন্ধু শুধু নও পৃথিবীর সব নিপীড়িত জনতার বন্ধুও হও। হে বন্ধু।

তোমার বিশাল হূদয়ে আমাদের স্থান দাও যাতে আমরা দুঃখ-কষ্ট ভুলে মনের আনন্দে নৃত্যগীত করতে পারি। " আরেক বিখ্যাত পেইড দালাল কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট চিঙ্কু বাম নাস্তিক ব্লকার ফিদেল কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেছেন ''আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও নির্ভীকতা হিমালয়ের মতো। এভাবেই তার মাধ্যমে আমি হিমালয়কে দেখেছি। '' শেষ করব বর্তমানের বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত কবি গুণ'দার কবিতা দিয়ে "স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো" নির্মলেন্দু গুণ একটি কবিতা লেখা হবে, তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’ এই শিশু-পার্ক সেদিন ছিল না, এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না, এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না।

তা হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি? তা হলে কেমন ছিল শিশু-পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হূদয় মাঠখানি? জানি, সেদিনের সব স্মৃতি মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত কালো হাত। তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ কবির বিরুদ্ধে কবি, মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ, বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল, উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান, মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ...। হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি, শিশু-পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প। সেদিন এই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর। না পার্ক না ফুলের বাগান, ...এসবের কিছুই ছিল না, শুধু একখণ্ড আকাশ যে রকম, সে রকম দিগন্তপ্লাবিত ধু-ধু মাঠ ছিল দুর্বাদলে ঢাকা, সবুজের সবুজময়।

আমাদের স্বাধীনতাপ্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল এই ধু-ধু মাঠের সবুজে। কপালে, কবজিতে লালসালু বেঁধে এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক, লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক; পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক। হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ, বেশ্যা, ভবঘুরে আর তোমাদের মতো শিশু পাতা-কুড়ানীরা দল বেঁধে। একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্য কী ব্যাকুল প্রতীক্ষা মানুষের: ‘কখন আসবে কবি?’ ‘কখন আসবে কবি?’ শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে, রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন। তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল, হূদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার সকল দুয়ার খোলা।

কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী? গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি: ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ’ সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের। চাষাভুষার কাব্য (১৯৮১) সত্যিকারে কাউকে পছন্দ করতে হলে তার প্রত্যেকটা আচার আচরণ প্রত্যেকটা মুভমেন্ট আপনার মনঃপূত হতে হবে এমন ভাবাটা ঠিক না। আমি আমার বাবাকে প্রচণ্ড ভালোবাসি কিন্তু তাই বলে তার সাথে আমি সবসময়ই একমত হব এমন ভাবা অযৌক্তিক। মুজিবের অসংখ্য সীমাবদ্ধতা আছে, আছে অজস্র দুর্নীতি এবং বাক্সাল কিংবা রক্ষীবাহিনীর মত ভুল নীতিও।

তারপরেও আমার কাছে ৭ই মার্চের নায়ক একজনই "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।