মঙ্গলবার লাখ লাখ ক্রিকেটপ্রেমীর দৃষ্টি ছিল হোটেল রেডিসনের দিকে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করা আশরাফুলের চূড়ান্ত শাস্তি কী হবে এবং অন্য কোনো ক্রিকেটার এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত কি না, তা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে এ ধারণা অনেকেরই ছিল। কিন্তু বিসিবি ও আইসিসির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্তভাবে কোনো কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে আশরাফুল ছাড়া আরও নয়জন ক্রিকেটার ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছে, এরা কারা? আশরাফুল ছাড়া বাকি কারও নাম উল্লেখ না করলেও বলা হয়েছে, এরা সবাই ক্রিকেটার নন।
সাবেক একজন প্রধান বিচারপতিকে প্রধান করে ট্রাইব্যুনাল গঠন হবে, এরপর তাদের শাস্তি নির্ধারণ হবে। আশরাফুল স্বীকার করায় তিনি যে অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তা পরিষ্কার। তাই তাকে শাস্তি পেতে হবে।
জুনে বিসিবি আশরাফুলকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ করে। এবার ট্রাইব্যুনাল দেবে চূড়ান্ত শাস্তি।
এমনও কথা শোনা যাচ্ছে, আশরাফুল আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, অপরাধ স্বীকার করায় তিনি পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। অবশ্য শাস্তি কমাতে তিনি আপিল করতে পারবেন। আশরাফুল কালও আবেগভরা কণ্ঠে বলেছেন, তিনি ক্রিকেটে ফিরতে চান। ধরলাম আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে তার শাস্তি হবে দুই বছর।
কিন্তু একজন ক্রিকেটার যদি দুই বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ থাকেন তাহলে কি তার ফর্ম থাকবে? বিষয়টি কাল জানতে চাওয়া হয়েছিল আশরাফুলের ক্রিকেট গুরু ওয়াহিদুল গনির কাছে। সাময়িক নিষিদ্ধ হওয়ার পর আশরাফুলের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে ওয়াহিদ বক্তব্য দিয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনে। এবার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। শুধু বললেন, আশরাফুলের প্রতি ফিলিংস আমার আছে। কিন্তু পুরো বিষয়টি তদন্তের মধ্যে রয়েছে।
শুনেছি এ নিয়ে ট্রাইব্যুনালও গঠন হয়েছে। সুতরাং ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। শুধু ওয়াহিদ নন, ফিক্সিং নিয়ে সাবেক ক্রিকেটাররা মুখে তালা দিয়েছিলেন। শুধু বলেছেন, এ ঝামেলা যত তাড়াতাড়ি দূর হবে ততই ক্রিকেটের জন্য মঙ্গল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।