নিষিদ্ধ গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছে দুই সমুদ্রবন্দর। বেআইনিভাবে আমদানি করা পাঁচ বছরের পুরোনো ৩০০ গাড়ি চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে আটকে রয়েছে। জরিমানা আদায় করে এসব গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। কারণ, গাড়িগুলো ছেড়ে দিলে সরকার কিছু রাজস্ব পাবে। কিন্তু আইন অনুসরণে অনড় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বিদ্যমান আমদানি নীতি (২০১২-১৫) অনুযায়ী, পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি আমদানি শুধু নিষিদ্ধ নয়, আগের আমদানি নীতিতেও এ নিষেধাজ্ঞা ছিল। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে এ আমদানি নীতি বলবৎ। বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের প্রথম আলোকে বলেন, বন্দর পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে আসার পরে ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলছেন যে তাঁদের আইন জানা ছিল না। এটা ব্যবসায়ীদের অজুহাত ও নির্জলা মিথ্যাচার। গাড়ি ছাড়ের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তদবির করে ব্যর্থ হয়ে ঈদের আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের শরণাপন্ন হয়েছে এনবিআর।
তবে, অর্থমন্ত্রী এখনো কোনো সমাধান দেননি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই গাড়ি ব্যবসা চলে আসছে। একশ্রেণীর ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ গাড়িসহ অন্যান্য পণ্য এনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুমোদন নিয়ে ছাড় করান। এ জন্য বড় অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয়। এর সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা মিলে একটি চক্র তৈরি হয়েছে।
কিন্তু সম্প্রতি এই বিশেষ ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।