আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সময় : বহমান নদীর গল্প

এই ব্লগটি নোমান বিন আরমান'র দায়িত্বে প্রবর্তিত। এখানে মাঝেমধ্যে তিনি আসেন। numanbinarmanbd@gmail.com

নোমান বিন আরমান : ‘একটা সময় কিছুই ছিলো না। ’ এই ‘একটা সময়’ বলতে আমরা কোন সময়কে বিবেচনা করব। নিশ্চিত করা কঠিন।

তবে সেই সময় থেকে নিরবে যে সময় বয়ে চলেছে এটা নিশ্চিত। এর কোনো শেষ নেই। তবে বদল রয়েছে। এই বদল সৃষ্টিশীল। সময় বদলে পরিবর্তনের জন্য এমনটাÑ পূর্ণ সত্য নয়।

সময়ের পরিবর্তন হয় সৃষ্টির জন্য। অন্যভাবে বললে, সৃষ্টির প্রসব বেদনা থেকেই সময়ের পরিবতর্ন ঘটে। http://www.numanbinarmansyl.blogspot.com এই সৃষ্টিতে যাদের অংশ থাকে, সময়ের সঙ্গী তারা হতে পারেন। না হয় পরিবর্তনটা তাদের ঘাড়েই ঝুলে পড়ে। মৃত্যু হয় তাদের।

সময় কোনো আবর্জনাকে সঙ্গী করতে নারাজ। সঙ্গী নির্বাচনে সে খুব ‘নিষ্ঠুর’ আর বাস্তববাদী। কোনো কাহিনী সময়ের ‘পাষাণ’ মন গলাতে পারে না। অতীত ঐতিহ্যে সে প্রভাবিত হয় না। সময় সব সময়ই প্রত্যেকের ‘কর্ম’কে বিবেচনা করে।

সময়ের আগে যারা চলতে পারে তাদের সে স্নিগ্ধ করে। পবিত্র করে। মর্যাদা দেয়। ‘উত্তরাধিকার’ সূত্রে প্রাপ্ত কোনো কিছুর মূল্যায়নে সে গা করে না। সময়ের এই গা না করার কারণেই কত অর্জন আর কাহিনী ‘আর্বজনা’ হয়ে গেছে।

কত সভ্যতা লীন হয়েছে। হারিয়ে গেছে কত ‘সৃষ্টি’ তার কোনো হিশেব নেই। সময় সেসবকে মনে রাখেনি। কারণ ওসব সময়ের আগে চলতে পারেনি। ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিলো আপন স্থানে।

সময়কে নূতন কিছু সে দিতে পারেনি। সৃষ্টি করতে পারেনি। সময় তো সৃষ্টিশীলদেরই শুধু প্রতিনিধিত্ব করে। সময়সংশ্লিষ্ট কুরআনের বহুল পঠিত আয়াতখানি এখানে আমাদের বক্তব্য প্রকাশ করতে খুব সহায়তা করবে। স্মরণ করুন, (আল্লাহ বলছেন) কসম সময়ের নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত (যা সে আয় করেছে তা ধরে রাখতে পারবে না)।

তবে যারা বিশ্বাসী এবং কল্যাণকর কাজ করে তারা (ক্ষতিগ্রস্ত) নয়। (সুরা আ’সর)। কুরআনের শব্দপ্রয়োগ লক্ষ করার মতোন। বিশেষ কোনো আমলের উল্লেখ না করে ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ চয়ন করা হয়েছে, ‘ওয়ামিলুস সোয়ালিহাত’ কল্যাণকর কাজের কথা বলা হয়েছে। যারা আল্লাহর প্রতি অনড় বিশ্বাস স্থাপনের পাশাপাশি কল্যাণকর কাজ করবে তারাই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বাকিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে; (মরে) যাবে। এখানে আরেকটি বিষয়ে চোখ দেব, কল্যাণকর কাজের পূর্বে ঈমানের বিষয়টি শর্ত করা হয়েছে। এই শর্তকে এক চোখে দেখলে বাস্তবতাকে অস্বীকার করা হবে। ‘বিশ্বাস’ ছাড়াও অনেকের ‘কর্ম’ স্থায়িত্ব পাচ্ছে। হাজার বছর থেকে বেঁচে আছে।

আর অনেক বিশ্বাসীর ‘কর্ম’ হারিয়ে গেছে। এর ব্যাখ্যা কি হবে। সহজ। বিশ্বাসীদের কর্ম দুনিয়া সমান বয়স যেমন পাবে তেমনি পরকালেও তা মূল্যায়িত হবে। এ জন্যই কল্যাণকর কাজের পূর্বে বিশ্বাসকে শর্ত করা হয়েছে।

আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না, তাদের কল্যাণকর কাজ চিরকালীন মর্যাদা পাবে না। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। বেঁচে থাকতে চাই দুনিয়া সমান বয়স নিয়ে। পেতে চাই কাজের চিরকালীন মর্যাদা। এজন্য সময়ের কাজ আমরা ঠিক সময়ে করব।

আমরা সৃষ্টিশীল হবো। সময়ের আগে রবো সব সময়। এটাই আমাদের পুনঃ অঙ্গীকার। সম্পাদকীয় : কালকণ্ঠ ২০০৯। http://www.kalkontho.com


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।