রাতের আকাশের নগ্নতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি কিন্তু পারি না মনের আকাশ দেখতে।
আমি কি করেছি জানি না। তবে সেদিন কোন ঘটনার ব্যাপারে আমার কোন হাত ছিল না। সে যাই হোক, হারানো অতীত পুরোনই থাক ডেল। অনেক কথা হল।
এবার বল, আমাদের জামাই সাহেব কোথায়? তাকে দাও।
এখনও ফেরেনি।
রাত বারটা। এখনও ফেরেনি? ও! বেলকুনিতে এসেই সে জন্যে এত পায়চারি করছ?
হুম, তবে দু’লাইন বেশি বুঝেছ। আসলে মেয়েদের মন তোমরা ছেলেরা কখনই বোঝ না।
কী? আবার কথা বলছ না কেন? আমাকে কি ভাব তুমি বুঝিনা।
ঠিক আছে, আর বোঝাতে চাইব না। আজীবন যখন ভবঘুরে পথিক হয়ে থাকবার সাধ, সেভাবেই থাক। পথিক যখন হয়েছ তখন আমার বাড়ির পথে ভুল করে হলেও একবার পা রাখ। একপলক দেখব তোমাকে।
এত তাড়া কিসের। দেখবে । খুব শীঘ্রই দেখবে। তার আগে যে জন্যে ফোন করা সেই কাজ টা তো সেরে নেই।
ও! মনে আছে তাহলে! ফোনেই জানবে?
হ্যা ফোনেই।
কিন্তু কি বলব, ভেবে পাচ্ছি না।
আগে আস তো; তারপর-----------
না আগে বলব, তারপর অন্যকিছূ।
এখনও এত দাবী। ঠিক আছে যা খুশি তোমার করো।
বুঝতে পারছি একটু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু এ সুযোগ কোন পাগলে বল? মন খারাপ করলে?
কি মনে হয়?
আচ্ছা বাদ দাও। তারচেয়ে এক কাজ কর, তুমি আমার সঙ্গে চল?
কোথায়?
ভয় পেয় না। আমার কল্পনার রাজ্যে। শুধু দু’চোখ বন্ধ করলেই চলবে। -----------
ধর, তুমি চন্দনের পাদুকা পায়ে কামিনী, শিউলী, বেলীর বাগানে হাঁটছ।
একাকী চলছ গন্ধরাজের খোঁজে। শরতের রাতের আকাশ, ঝকঝকে। আকাশের এক কোণে পূর্ণ চাঁদ আজকের মতই সুন্দর। হঠাৎ লক্ষ্য করলে চন্দ্রগ্রহন শুরু হয়েছে। অবাক হয়ে সে দৃশ্য দেখছ।
ঠিক এ সময় তোমাকে চমকে দিয়ে বললাম, ডলি এ ফুলগুলো তোমার জন্যে। তোমার প্রিয় ২৪ টা সিঁদুর গোলাপ আর মাঝখানে এই টকটকে লাল গোলাপটা কশ্মীরী। চারিদিকে ফুরফুরে সতেজ বাতাস। তোমার চুল সে বাতাস উড়ছে। ফুলগুলো তোমার বুকে লেপ্টানো।
প্রশান্তিতে তোমার চোখ আধবোজা তুমি তখন গোলাপের ভাসাভাসা গন্ধ পাচ্ছ। ---------
---------------------------------------------------
------------------------------------------------------------
হ্যাপী ম্যারেজ সিরিমনী। এবার খুশি তো? নাকি বলবে, এখনও ছেলেমানুষ রয়ে গেছি!
তোমাকে যে আরও অনেক কিছু দিতে ইচ্ছে করছে। এই যেমন ধর, এখন ইচ্ছে করছে ঐ চাঁদটাকে তোমার কপালের টিপ বানিয়ে বসিয়ে দেই। আচ্ছা ওটা না হয় হিমেল ভাইয়ের জন্যে বরাদ্দ থাক।
তবে আজকের রাতের সমস্ত স্মৃতি কিন্তু এই চাঁদনী খামে তোমার ঠিকানায় পোষ্ট করলাম। প্রতিটি পূর্ণিমাতে তোমার হাতে একেকটা পৌছাবে। ঠিক আছে ম্যাডাম? এ কি তুমি কাঁদছ? আমি শব্দ পাচ্ছি কিসের....
কই না তো। এবার লক্ষ্মী ছেলের মত আপনি আমার বাসায় আসেন। কেমন?
ডলি, কলিং বেলের শব্দ পাচ্ছ? সম্ভবত তোমার উঁনি।
এখন রাখি ডলি; পরে কথা হবে।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।