রাতের আকাশের নগ্নতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি কিন্তু পারি না মনের আকাশ দেখতে।
কী যেন বলছিলে। ও হ্যাঁ, অনেক দিন পর আজকে ছাদে গিয়েছিলাম।
আজকের চাঁদটা কী সুন্দর! দেখেছ? ভরা পূর্ণিমা। চারিদিক জোছনার কোমল আলোর থৈ থৈ।
গায়ে মাখতে ইচ্ছে করে সে পরশ। আমি অন্ধের মত বলতে পারি, এই অস্বাভাবিক ভাললাগাকে তুমি দু’হাতে আলিঙ্গন করতে না পার, দূরে ঠেলতে পার না। কী ঠিক বলেছি?
কবিত্বের ভাব ধরে রেখেছ - ঠিক আছে। অনেক কিছুই ভুলে গেছ দেখছি। এত তাড়াতাড়ি! পুরুষরা আশ্চর্য।
আগে ভাবিনি, চাঁদের কলঙ্কটাও এত কুৎসিত লাগবে।
হ্যাঁ, হয়ত সত্যিই আমার মনটা আমার অস্তিত্বে কুৎসিত। কিন্তু এটা তো ঠিক – কিছূ আগেও তুমি সেই কলঙ্কিত চাঁদের দিকে আনমনে চেয়ে ছিলে। আর ভাবছিলে, মেঘগুলো কেন বারবার চাঁদটাকে ঢেকে ফেলছে, আবার সরে গিয়ে কেনই বা মুক্ত করছে; ভাবছিলে - মেঘের আড়াল থেকে চাঁদটা উঁকি দিলে কেন এত ভাল লাগছে? ......................... অ্যাই মেয়ে, হ্যালো মিষ্টি মেয়ে – কি হয়েছে তোমার? এত গম্ভীর ভাব দেখাচ্ছ যে; আমি কি ভুল বললাম?---------------------------- কিছুই কি বলবে না। এতটুকু কথা বলার ইচ্ছে নেই?
আচ্ছা তুমি আমার কবে পিছু ছাড়বে বল তো?
রেগে যাচ্ছ কেন?
না রাগ করিনি।
অবাক হয়েছ? আসলে তেমন কিছু না। মনে হল তাই বললাম। আগে তো আমার কবিতায় চাঁদের উপমা থাকলে বলা নেই কথা নেই ঘচাং করে কেটে দিতে, ছিড়ে টুকরো টুকরো করতে পৃষ্ঠাগুলো। এখন সেটাই ভাললাগছে? তা কবে থেকে শুরু করলে চাঁদ দেখা দেখির নাটক?
নাটক ! আসলে জীবন তো নাটকেরই পট। তবে এই নাটকের শুরুটায় কোন নাটকীয়তা ছড়াই, যেদিন নিজের ভুল বুঝতে পারলাম সেদিন।
.........এই তো সেদিন – তবুও একে একে চলে গেছে বারটা পূর্ণিমা। কী ভীষণ নি:সঙ্গ। অসহ্য প্রতিটা রাত। আমার প্রতিদন্দ্বী, আমাকে সময় দেবার নীভৃত্য সহচারী - এই চাঁদ - আমার মতই... বৃথা হয়নি। কোন অপূর্ণতাও রাখিনি।
জানো -
হ্যালো জেমস্; হ্যালো ...
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।