আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেন শিক্ষিত বেকারের এই বিড়ম্বনা



কেন শিক্ষিত বেকারের এই বিড়ম্বনা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাশেষে একটা ছবি, চারিত্রিক সনদ, শিক্ষাগত সনদের সকল অনুলিপি সত্যায়িত করার জন্য প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার কাছে যেতে হয়। প্রশ্ন হচ্ছে- প্রথম শ্রেণীর একজন কর্মকর্তা অচেনা একজন শিক্ষিত বেকারকে কীভাবে জানবেন? এবার পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবির কথা। এখানে কী দরকার সত্যায়িত-এর, যেখানে নিজেই উপস্থিত সেখানে সত্যায়িত করার দরকার কী? সব থেকে বড় কথা-পাসপোর্ট দেবার পুর্বে যেখানে পুলিশ ভ্যারিফিকেশন করার জন্য পুলিশ আবেদনকারীর ঠিকানায় যাবেই। শিক্ষা সনদের অনুলিপি বা সত্যায়িত হতে হবে কেন? কলেজ-ইউনিভার্সিটিগুলোতে শিক্ষার পাঠ শেষ করে একজন শিক্ষিত বেকারের এই ডিজিটাল যুগে শিক্ষাসনদের অনুলিপি সত্যায়িত করার জন্য প্রথম শ্রেণীর ক্যাডারের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ প্রথমত একজন প্রথম শ্রেণীর ক্যাডার তাঁর দাপ্তরিক দৈনন্দিন কাজ ফেলে শুধু সত্যায়িত করতে কাজের সমস্যার পাশাপাশি নানান অসুবিধার সম্মুখীন হন।

এর জন্য সরকারের উচিত আলাদা বিভাগ খোলা। প্রতিটি গ্রামে অথবা থানায় অথবা ডাকঘরে অথবা ফটোকপির দোকানে দোকানে অথবা প্রতিটি নাগরিককে দিতে হবে এই ক্ষমতা । এই শিক্ষিত বেকার যখন সত্যায়িত করার উদ্দেশ্যে প্রথম শ্রেণীর ক্যাডারদের দ্বারে দ্বারে যান তখন নানান অজুহাত শুনতে হয়, কখনো সিল-প্যাড নেই, কখনো দিতে পারবো না, কখনো আমি সত্যায়িত করি না, কখনো তোমাকে আমি চিনি না, কখনোবা কটু বাক্য। শিক্ষিত বেকারের এমন বিড়ম্বনার কী প্রয়োজন? এই বিড়ম্বনা থেকে শিক্ষিত বেকারদের বাঁচান। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সকল আবেদনপত্র গ্রহণ করুন।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।