থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
আমাদের দেশে কিছু নিরপেক্ষ মানুষ আছেন যারা এই সময়কার দ্বি-দল ভিত্তিক চেতনার উর্ধে থেকে কাজ করতে চান। কিন্তু বিভিন্ন বাধার কারনে তারা তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেন না। আইন কমিশন তেমনই একটা স্থান, এবং এর চেয়ারম্যান একজন সজ্জন বলেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু হায়! সেই পুরাতন চিত্র এখানেও।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আইন কমিসনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আব্দুর রশিদ আইন কমিশনকে একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য সবাইকে নিয়ে একটি টিমওয়ার্ক গড়ে তোলেন; কিন্তু আইন সংশোধন ও নতুন আইন তৈরির ক্ষেত্রে আইন কমিশনের পক্ষ থেকে দেয়া মতামতের একটিও মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেনি। এ নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আইন কমিশনের দূরত্ব বাড়তে থাকে। এর জের ধরেই তিনি পদত্যাগ করেতে পারেন বলে আইন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো আইন প্রণয়ন হয়েছে এবং যতগুলো আইন সংশোধন করা হয়েছে তার একটিতেও আইন কমিশনের মতামত ও সুপারিশ গ্রহণ করা হয়নি। যদিও প্রতিটি আইন তৈরির আগেই আইন কমিশনের সুপারিশ ও মতামত গ্রহণের নিয়ম রয়েছে।
এভাবে আইন কমিশনকে একটি অকার্যকর ও নিষ্ক্রিয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আইন কমিশনের মতবিরোধ চলে আসছিল বলে জানান তিনি। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল ও এজলাস স্থাপন করতে আইন কমিশনের কর্মকর্তাদের অফিস স্থানান্তর করা হয়েছে চেয়ারম্যানের অমতে।
এছাড়াও ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি সংশোধনের ক্ষেত্রে আইন কমিশনের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে। ওই আইন সংশোধনের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে আইন কমিশন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় ৩০ জন আইনজীবীর মতামত চেয়ে চিঠি দেয়।
একজন আইনজীবী ছাড়া কেউই আইন সংশোধনের পক্ষে মত দেননি। এ বিষয়টি তুলে ধরে আইন কমিশন তার মতামত দেয়; কিন্তু আইন কমিশনের মতামত উপেক্ষা করেই পরবর্তীতে আইনটি সংশোধন করা হয়।
সম্প্রতি সংবিধান পুনর্মুদ্রণ নিয়েও আইন কমিশনের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। মূলত এসব কারণেই চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করেন আইন কমিশনের কর্মকর্তারা।
[ তথ্য সূত্রঃ আমার দেশ Click This Link ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।