প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে গা ঢাকা দিয়েছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দিঘী বিল এলাকার চান মিয়া। তার পিতার নাম মৃত শাছুল হক।
প্রতারণার শিকার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসাখানপুর এলাকার মৃত হায়াত আলীর ছেলে মোঃ দুলাল মিয়া জানান, তিনি সহ আরো ১৪ জন মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য চান মিয়ার নিকট প্রত্যেকে দুই লাখ টাকা করে জমা দেন। চান মিয়াও যথারিতী তাদেরকে বিদেশ পাঠানোর জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে গত পাঁচ অক্টোবর বেলা দুইটায় তাদের সকলের ফ্লাইটের সময় নির্ধারণ করে দেন। এবং ওই দিন সকালে গাড়ী নিয়ে এসে বাসাখানপুর থেকে তাদেরকে একসাথে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিশ্র“তি দেন।
কিন্তু ওই দিন আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীসহ সকলের নিকট থেকে বিদায় নিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকলেও আদম বেপারী চান মিয়া তাদের নিতে আসেননি। এমনকি যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত মোবাইলও বন্ধ করে রাখেন। এর পর থেকে তার আর কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা। এমনকি চান মিয়া টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া হাটের পাশে ভাড়া বাসা তালা দিয়ে স্ত্রীসহ সকলেই আত্মগোপন করেছে। এরপর থেকে তাকে খুঁজে না পেয়ে দুলাল মিয়াসহ ১০জন টাঙ্গাইল সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চান মিয়ার প্রতারণার শিকার অন্যরা হলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাইমাইলের মৃত হায়াত আলীর ছেলে শকচান মিয়া, একই গ্রামের মোঃ শফিকুর রহমানের ছেলের হাছান মিয়া, বাসাখানপুর গ্রামের কদ্দুছ আলীর ছেলে শাহালম মিয়া, মৃত কেতাব আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন, কাজীপুর গ্রামের কদ্দুছ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, নামদার কুমুল্লির আনছার আলীর ছেলে ছাদেক আলী, পাঁচ কাউনিয়ার ছোরহাব আলীর ছেলে লুৎফর রহমান, মির্জাপুর থানার ভেটকু মল্লিকের ছেলে আলম মল্লিক ও গোপালগঞ্জ জেলার মহারাজপুর গ্রামের শামছুল শেখের ছেলে কাউসার শেখ। তাদের অনেকেই জমি বিক্রি করে, দাদন নিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিল। বর্তমানে তারা হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) জাকির হোসেন বলেন, আমি সরজমিন খোঁজ নিয়ে এই ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তবে যে চান মিয়ার কাছে তারা টাকা দিয়েছে সে তার ভাই বোন আত্মীয় স্বজন থেকে পৃথক জীবন যাপন করে।
সে করটিয়ায় বাসা ভাড়া করে থাকতো। কিন্তু বর্তমানে সে লাপাত্তা। তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।