বিশ্বাসকে সত্য ভাবা আর, সত্যকে বিশ্বাস করা এক নয়। কেউ বিশ্বাস করুক বা না করুক সত্য সত্যই।
ঘোষণার সারমর্ম / মূলকথা
>> আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই, মাবুদ নাই, সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী নাই, আইনদাতা-বিধানদাতা নাই;
>> আল্লাহ তায়ালাকেই একমাত্র সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক বলে বিশ্বাস করা। এবং আর কেউ তার এ একচ্ছত্র ক্ষমতার শরীক নেই বলে বিশ্বাস করা;
>> তিনি এক, একক, অনন্য, অদ্বিতীয় বলে বিশ্বাস করা;
>> আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে সৃষ্টিকর্তা, প্রতিপালক, রিযিক দাতা, জীবন-মৃত্যুর মালিক এবং রক্ষাকারীরূপে বিশ্বাস না করা;
>> একমাত্র আল্লাহকেই সর্বজ্ঞানী, সর্বশক্তিমান, গায়েবের ব্যাপারে ওয়াকেফহাল(জানেন) বলে বিশ্বাস করা। আর কাউকে এরূপ বিশ্বাস না করা;
>> আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে উপকার- অপকার / লাভক্ষতির মালিক বলে বিশ্বাস না করা;
>> আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে রব, আইন-বিধানদাতা বলে বিশ্বাস না করা।
একমাত্র আল্লাহকেই আমাদের রব, আইন-বিধানদাতা বলে বিশ্বাস করা;
>> আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ইবাদত -বন্দেগীর অধিকারী, সাহায্যকারী, বিপদ হতে উদ্ধারকারী, মুক্তিদাতা বলে বিশ্বাস না করা;
>> আল্লাহ ছাড়া আর কারো বান্দা বা দাস হয়ে না থাকা। নিজের প্রবৃত্তি ও দেশে চলিত প্রথার অন্ধ অনুসরণ না করা;
>> জীবনের প্রত্যেক ব্যাপারে আল্লাহর বিধানকে একমাত্র ভিত্তি বলে মানা এবং সে অনুযায়ী প্রত্যেকটি কাজ করা;
>> আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নিকট দোয়া এবং সাহায্য ও প্রার্থনা না করা ;
>> আল্লাহ ছাড়া আর কারও উপর নির্ভর এবং কারও নিকট আশা পোষণ না করা এবং কাউকে ভয় না করা;
>> আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে সবচেয়ে প্রিয় না জানা এবং তাঁকেই অসীম প্রেমময় এবং অসীম করূনার অধিকারী বলে বিশ্বাস করা;
>> কোন মানুষ, দল, সমাজ বা শাসন কর্তৃপক্ষকে আল্লাহর আইন, বিধান, শরীয়তের পরিবর্তন বা সংশোধনের অধিকারী বলে স্বীকার না করা;
>> জীবনের প্রত্যেক কাজের জবাবদিহি শুধু আল্লাহর নিকট করতে হবে এ বিশ্বাস হৃদয়-মনে সবসময় জাগ্রত রাখব এবং যে কাজে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন যে কাজ করতে এবং যে কাজে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন সে কাজ থেকে বিরত থাকতে সর্বদা চেষ্টা করা;
>> আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে সকল প্রয়োজন পূরণকারী, ক্ষমার অধিকারী এবং হেদায়েত দানকারীরূপে বিশ্বাস না করা;
>> নবী, ফেরেশতা, ওলী-আউলিয়া, সাধু-স্বজন কে ইলাহী ব্যবস্থাপনার মধ্যে পরিবর্তন ও সংযোজন করবার এবং আল্লাহর নিকট সুপারিশ করার অধিকারী বলে বিশ্বাস না করা। তবে সুপারিশ এর ক্ষেত্রে পরকালে শুধু যার জন্য অনুমতি হবে (যেমন নবী এবং ঈমানদাররা) তারাই শুধু সুপারিশ করতে পারবে;
>> কাউকে আল্লাহর সন্তান, আত্মীয়, অংশীদার বা শরীক বলে বিশ্বাস না করা। আমরা বিশ্বাস করব এসব থেকে নিশ্চয় আল্লাহ মুক্ত এবং পবিত্র। যিনি এক, একক তার শরীক কেউ নেই;
>> কোন বস্তু বা প্রানীর মধ্যে মিশ্র বা অবিমিশ্র ভাবে আল্লাহর অস্বিত্ব বা অবতারত্ব স্বীকার না করা।
যেমন- হিন্দুরা রামকে ভগবানের অবতার মনে করে;
>> আল্লাহ প্রতি মুহুর্তে জীবন্ত, জাগ্রত এবং সৃষ্টিজগতের সব অবস্থা সম্পর্কে অবগত, তাঁকে সবচেয়ে নিকটবর্তী বলে বিশ্বাস করা। সবকিছুই তার দেয়া নিয়ম অনুযায়ী চলছে এবং তিনি এসব কিছুর উপর তার স্বাধীন ক্ষমতা বলে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা রাখেন বলে বিশ্বাস করা।
>> নিজেকে কোন বস্তুর মালিক বা অধিকারী বলে জ্ঞান না করা। এমনকি স্বীয় প্রাণ, অঙ্গ-প্রতঙ্গ, দৈহিক এবং মানসিক শক্তিকেও আল্লাহর নিকট থেকে প্রাপ্ত গচ্ছিত বস্তু মনে করা;
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।