আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি এক অলস আঁকিয়ে...

পূর্ণ হতে চাইনি তাই পূর্ণতার খোঁজ করি, অপূর্ণতাই থেকেছে পাশে তাই অপূর্ণতার কাছে ঋণী

আঁকতাম ছোট্টবেলা হতেই। বাবা বলতেন, আমি আমার দাদুভাইয়ের হাত পেয়েছি। তিনি অসাধারণ স্কেচ করতেন! আমার মা ও একসময় খুব আঁকতেন। তাঁর আঁকা ছবিগুলো দেখে লোভ লাগতো। আম্মুর আঁকা ছবিগুলোর নকল করতাম! কী করবো? এত কিউট কিউট ছবি দেখে আমার খুব ইচ্ছে হতো, আঁকা শিখি।

কিন্তু শেখাটা একান্তভাবে নিজে নিজেই হয়ে উঠেছে। বলতে দ্বিধা নেই- observation was my gateway. সময় নিয়েছি। ছবি আঁকার আবেগটাকে অনুভব করেছি। মানুষের মুখকে খুব খেয়াল করেছি। এখনও খেয়াল করে চলছি সবকিছুকে।

কোন ছবি আঁকার সময়ই বুঝেছি, পেন্সিলের এক একটি আঁচড়ের কী মানে। তখন ভয়ও পেয়েছি, ছবি যেন নিখুঁত না হয়ে যায় আবার! কারন, বিধাতা অতুলনীয়। তিনি কত সুন্দর করে জগতটাকে সৃষ্টি করেছেন। তার সৃষ্টিকে আমি আকর্বষণশতই পেন্সিল কিনবা তুলিতে তুলে আনছি। আমি কি তাঁর মত পারবো কখনও! পারতেও চাই না।

কিন্তু হ্যাঁ, আঁকতেও যে ভালবাসি। তাই আঁকা থামাই না! ছোটবেলায় আঁকা অনেক ছবি কোথায় কোথায় যেন হারিয়ে গেছে! খুঁজলে পাবো হয়ত। যাই হোক, হাতের কাছে যা আছে সেগুলোই শেয়ার করছি। কম্পিউটারে আঁকা (ডিজি পেইন্ট): ১. বয়স তখন হবে ১৬, এইটা এঁকেছিলাম। এই ছবিটায় নারিকেল গাছের পাতাগুলো আমার ভীষণ প্রিয়।

তখন অত ধৈর্য নিয়েও আঁকা হয়নি। নাহলে, পাতাগুলো আরও ভাল করে আঁকা যেত। ২. আগ্রহবশত এটা আঁকা শুরু করেছিলাম, কিন্তু আলসেমিবশত শেষ করিনি। ৩. কে জানি বকেছিল আমায়। তখন আঁকা ৪. ছবিটা আমার খুব পছন্দের।

এক বন্ধুর জন্য এঁকেছিলাম। হয়ত একটু উদাসী হয়ে ছিলাম, তাই ছবিতে 'বধূ' টা দেখতে এরকম। ছবিটার নাম- 'নব' ৫. ইনি কে? বলবো না। আরও একটা প্রিয় ছবি। যতবার দেখি, মজা লাগে! ক্যারেক্টার: ১. 'Death Note' নামে একটা Manga (কমিক) সিরিজ আছে, জানবেন হয়ত অনেকেই।

সেই সিরিজের একটি ক্যারেক্টার 'L'. ওর চরিত্রটি একজন সুপার-ডুপার ডিটেক্টিভের যা আমার বেসম্ভব পছন্দের! এটা আঁকার ট্রাই করেছিলাম ফটোশপে। এটাই প্রথম এবং এটাই শেষ ট্রাই। ২. Manga সিরিজ 'Naruto' এর ক্যারেক্টার 'Hinata', এক বন্ধুর মুখে যার চরিত্রের গুণাগুণ শুনতে শুনতে প্রেমে পড়েছিলাম! সিরিজগুলো যদিও দেখা হয়নি। ৩. Manga সিরিজ 'Bleach' এর ক্যারেক্টার 'Ulquiorra', ওর চরিত্র সেখানে একজন ভিলেনের। সিরিজটাতে অনেক ভিলেন আছে, তার মধ্যে Ulquiorra অন্যতম।

ওকে কেন ভাল লাগে তা এখনও জানিনা। জেনে যাবো হয়ত শীঘ্রই। তবে ওর মুখের এক্সপ্রেশনটা আমাকে দ্বিধায় বা কনফিউশনে ফেলে দেয়। এটাও ভাললাগার একটা কারন হতে পারে। এই ক্যারেক্টারটাকে দেখলে আমার একটা কথা মনে পড়ে- পৃথিবীর কোনকিছুকেই পুরোপুরি ভাল কিংবা পুরোপুরি খারাপ বলা যায় না।

সৃষ্টির মাঝে তৈরি করা ভারসামকে উপলব্ধি করতে পারলে বিধাতাকে চেনা যায়। থিমেটিক: ১. ছবিটি অনেক ঘোলা এসছে, দুঃখিত। এই ছবিটির মাধ্যমে নারীর স্বরূপ প্রকাশ করেছি। একজনের মাঝেই মানসিকভাবে-শারীরিকভাবে সুস্থ এবং নির্যাতিত নারীকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি। কোন রুপে একজন নারীকে দেখতে ভাল লাগে? প্রশ্ন থাকলো।

'নারী' সৃষ্টি রহস্যের মধ্যে অন্যতম এক রহস্য। এই রহস্যকে ভেদ করতে যাওয়া কোনো পাপ নয়, কিন্তু এই রহস্য ভেদ করতে গিয়ে তাকে নষ্ট করাটা পাপ। ২. এই থিমটা সহজেই বোঝা যায়। ছবিটি যদিও খুব সাধারণ, কিন্তু আমি কল্পনা করতে পারি শুধু- '৭১ এর যুদ্ধে বিজয়ের পর স্বাধীন বাংলার রাস্তায় স্বাধীন দেশের পতাকা হাতে দৌড়ানটা কেমন হতে পারে! নাহ, এই অনন্য অনুভূতিটা এত সহজে বোঝা যায় না! ৩. ছবিটার নাম - 'Hope' নিজের ভাবনাকে এঁকেছি এখানে। যে যার মত বুঝে নিক।

ফ্যান্টাসি: আমার ফ্যান্টাসি হলো সেসব ব্যাপার নিয়ে যা আমি কল্পনায় ভাবতে ভালবাসি, দেখতে ভালবাসি, এবং যেখানে আমি যেতে ভালবাসি। ১. একটা পরী ২. ছবিটার নাম- 'Alone' জায়গাটা কাল্পনিক। একা যেতে ইচ্ছে করে এমন জায়গায়! ও হ্যাঁ! এটা ক্যানভাসে আঁকা আমার প্রথম ছবি। ৩. আরেকটা পরী। ৪. উফ! এমন জায়গায় কবে যাবো! আমার কল্পনা একটা পঁচা! খালি খালি এসব ঘটের মধ্যে আনবে, আর আমি যাওয়ার জন্য কাঁদবো (কিছু কিছু ছবি পেন্সিলে আঁকার পর এডিটিং সফটওয়্যার দিয়ে এডিট করা হয়েছে) To be continued...


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।