আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

... ধবল ধোলাই এবং কিছু কৌতুক...(ক্রিকেটীয়)

একা পাখি বসে আছে, দূর নীলিমার পানে তাকিয়ে...
বাংলাদেশের ষোল কলা পূর্ণ হলো। বাংলাদেশ শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ল। আর তার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র আয়োজন.... ***এক গ্রামের দাওয়াতে সেখানে বড় বড় দুই দল ক্রিকেট খেলতে গেল। দেখা গেল, সবই আছে, শুধু নেই একজন আম্পায়ার। সেই ভিড়ের গ্রাম্য লোকজনদের ভেতর থেকেই একজন আনকোরা আম্পায়ার খুঁজে বের করা হল।

তাকে সাদা সার্ট-প্যান্ট, কোট পরানো হল। তারপর সে এক দলের ক্যাপ্টেনের কাছে এল, বলল, এবার আমাকে একটু খেলার নিয়মকানুন শিখিয়ে দিন! ক্যাপ্টেন বলল, নিয়মকানুন! খুবই সহজ! এখন আমাদের দল বল করছে। আমাদের ফিল্ডাররা যখন সবাই একসঙ্গে ‘হাউজ দ্যাট’ বলে চেঁচিয়ে উঠবে, তখন তুমি তোমার এক আঙ্গুল উঁচিয়ে হাতটা তুলে ধরবে। আপাতত এটুকুই শিখে রাখ, আমরা যখন ব্যাটিং করতে নামব, তখন বাকিটুকু শিখিয়ে দেব! ***এক স্লিপের ফিল্ডার সারাদিনের খেলায় কমসে কম আটটা ক্যাচের বল হাত থেকে ফেলে দিয়েছে। সেই খেলায় হেরে যাবার পর ম্লান মুখে সবাই বসে আছে, এমন সময় সেই ফিল্ডার ক্যাপ্টেনের কাছে ছুটি চাইতে এল।

বলল, আমাকে এখনই ছুটি দিতে হবে, সন্ধ্যা ছটার ট্রেনে বাড়ি যাব, টিকেট কেটে রেখেছি! ক্যাপ্টেন বিরস বদনে তার দিকে তাকিয়ে বলল, ছুটি দিতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু ট্রেনটা ধরতে পারবে তো? ***দুই ব্যাটসম্যান একজন আরেকজনকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে। দুজনেরই ভেতরেই সবসময় চাপা রেষারেষি কাজ করে। একদিন তারা পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে কথা বলছিল। কথায় কথায় একজন বলল, স্থানীয় এক ক্লাব আমাকে একটা অন্যরকম প্রস্তাব দিয়েছে।

তারা চায় আমি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে জয়েন করে খারাপ খেলে তাদেরকে যেন জিতিয়ে দেই। এজন্য তারা আমাকে বিরাট অঙ্কের টাকা অফার করেছে। কিন্তু বুঝতে পারছি না, কাজটা ঠিক হবে কিনা! দ্বিতীয়জন সঙ্গে সঙ্গে বলল, এত চিন্তা করার কী আছে, তুমি তো বিনা পয়সাতেই এই কাজটা বরাবরের মতো করে আসছ! ***তোড়সে ব্যাট চালিয়ে লাঞ্চ আওয়ারে প্যাভিলিয়নে ফিরল এক ব্যাটসম্যান। সবাই তাকে বাহবা জানাচ্ছে, ফুর্তির চোটে বেশ খানিকটা ড্রিঙ্ক করে ফেলল সে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আবিষ্কার করল সবকিছুই সে তিনটা করে দেখতে পাচ্ছে।

মহা মুশকিল! উপায়ন্তর না দেখে মাঠে যাওয়ার আগমুহূর্তে কোচকে ব্যাপারটা খুলেই বলল সে। কাঁদো কাঁদো মুখে বলল, এখন কী করব আমি, সামনে তিনটা বল ছুটে আসছে দেখলে কোন বলটা পেটাব? কোচ তাকে ধমকাধমকি না করে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, অসুবিধা নেই, তিনটা বল ছুটে আসতে দেখলে তুমি ঠিক মাঝখানের বলটাকেই পেটাবে! ঠিক আছে? ব্যাটসম্যান মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়ে ফিরে গেল মাঠে। এবং প্রথম বলেই বোল্ড! প্যাভিলিয়নে ফিরে আসতেই কোচ চেঁচামেচি শুরু করল, আমি তোমাকে না বলেছিলাম তিনটা বলের মাঝখানের বলটা পেটাতে! ব্যাটসম্যান আরো কাঁদে কাঁদো মুখে বলল, ওটাই তো পিটিয়েছিলাম ! কিন্তু তিনটা ব্যাটের ডানদিকের ব্যাটটা দিয়ে পিটিয়েছিলাম যে! এই কৌতুকটা নিউজিল্যান্ডকে উৎসর্গ করলাম... শারজায় ওয়ান-ডে ক্রিকেট সিরিজ ভারত গো-হারা হেরে দেশে ফিরেছে। লজ্জায় কেউ মুখ দেখাতে পারছে না। সবাই বাড়িতে লুকিয়ে বসে থাকে।

শ্রীকান্ত আর থাকতে না পেরে দাড়িগোঁফ লাগিয়ে শিখ পাঞ্জাবি সেজে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল। খানিক দুর যাবার পর একজন মহিলা জিজ্ঞেস করল, এই যে শ্রীকান্ত, কোথায় যাচ্ছ? শ্রীকান্ত অবাক। মহিলা তাকে চিনল কী করে? পরদিন সালোয়ার-কামিজ পরে মাথায় পরচুলা লাগিয়ে মেয়ে সেজে রাস্তায় বের হল। সেই মহিলার সাথে আবার দেখা। বলল, কি শ্রীকান্ত, কোথায় যাচ্ছ? শ্রীকান্ত অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, আপনি আমাকে চিনলেন কীভাবে? মহিলা উত্তর দিল, আমি রবি শাস্ত্রী।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।