আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মমি সংক্রান্ত

উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি

মমি সংক্রান্ত উড়ে আসা মমিদের ধূসর চোখের পাতা খুলে দেখি, বিশুদ্ধ রমণী – ধর্মগ্রন্থের হলুদ পাতা। খুব কাছে পেতে ইচ্ছে করে, কাজল রাস্তার পাশে যাদের অনেক হাঁস ছিল, পালকের স্তূপে সারাক্ষণ জমে থাকতো কিশোরীদের অস্পষ্ট টোলপড়া গাল, এসবের সাথে আরো মিশে থাকতো ঘাস, বেদনাহত মালার ফুল, কড়ি ও কদম। হাওয়ায় লিখে রাখা দেয়ালগুলির দুঃখ কথা রাত হলে উড়ে আসে আমাদের মমিদৃশ্য পথে। বাইরে তখন বৃষ্টির শব্দ, পিছনের জানালা থেকে কেউ যেন ডাকে, তাঁর মুখের মতো আমরা পাথর কেটে কেটে সাজিয়ে রাখি ঘরের দেয়ালে, ফ্রেমের ভেতর ঘুমিয়ে পড়া সমস্ত বিকেলগুলোকে ডেকে তুলতে চেয়ে যারা ঘুমিয়ে গেছে আমরা তাদের পাঁজরগুলো সাজিয়ে রাখি জানালার পর্দায়, তাদের জন্যই আমাদের দরোজার পাশে গড়ে তুলেছি ডাকবাক্স, তুমি যেদিন ফুল পাঠিয়েছিলে সেদিনও ওই বাক্স খুলে দেখেছি – শূন্য। যার কাঠের শরীর তাকে গোপনে খুলে দেখেছে মেঘসিংহ, রোদপাখি। নর্তকীরা আনন্দে হেসেছে। আমরা পাশ ফিরে দেখেছি শুকনো ঠোঁটের পাপড়ি ও সূর্যান্তের দৃশ্য মিলে তৈরি হচ্ছে সাদা-কালো লেন, তাকে বলি, এবার খোঁপার ভেতর লুকিয়ে ফেলো বৃষ্টির ঘ্রাণ, সে রুমালের গভীরতায় ডুবিয়ে দেয় একাকিত্বের নাও, ভেসে ওঠে সহস্র হাঁস, গভীর রাতের পুরনো হাড় হুহু করে কাদে, বাঁশ পাতার নিকটে গিয়ে বসে থাকে স্নেহের আকাশ। খুব নিকটের স্পর্শ কাতর মুখের ছায়া ভেঙে গড়ে উঠা সিঁড়ি ঘরে চাবুকের পাশে শুয়ে থাকে। দূরে হর্ষ উন্মাদের গলি থেকে ভেসে আসে কালো জাহাজ, আমি ডুমুর গাছের কাছে খোলা চুলের নকশাতে দেখি নদী মুখ, পাড় ভাঙা শব্দের ভেতর তলিয়ে যায় নাভি উলকি, গভীর রাতের একাকি বারান্দা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।