আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক আয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে গাইবান্ধার জামায়াত নেতা



গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ছিলমানেরপাড়া এস ইউ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছলিম উদ্দিন মাদ্রাসার আয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। এর প্রতিবাদে গতকাল রোববার এবং আগেরদিন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন। তারা চরিত্রহীন জামায়াত নেতা ও অধ্যক্ষ ছলিম উদ্দিনের অপসারণ দাবি করেছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, নুরুন্নাহার ও তার পিতা নুরুল ইসলাম উক্ত মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে চাকরি করে আসছেন। এ অবস্থায় ওই জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ ছলিম উদ্দিন নুরুন্নাহারকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।

কিন্তু কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুরুন্নাহার ও তার পিতা নুরুল ইসলামকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনার কথা মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষকদের ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করা হলেও তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টির রাতে ওই জামায়াত নেতা নুরুন্নাহারের ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে নুরুন্নাহারকে উদ্ধার করে এবং জামায়াত নেতা ছলিম উদ্দিনকে গণধোলাই দেয়। পরে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও পার্শ্ববর্তী বাড়ির ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক মীমাংসার কথা বলে জামায়াত নেতাকে ছাড়িয়ে নেয়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গত শনিবার মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরদিন গতকাল গ্রামবাসীও বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেয়। এছাড়া নুরুন্নাহার বাদী হয়ে এব্যাপারে সাঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ আবদুল ওয়ারেছ খন্দকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খুব শিগগিরই মাদ্রাসা কমিটি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন গ্রামের মানুষের ভিতর তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। মূল খবর এখানে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।