খবরটা পড়েই মুখ হা হয়ে গেলো
এসব হচ্ছেটা কি ?
বলছি যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোর কথা৷ মিনিস্কার্টের মিনি সাইজের কারণে ইতিমধ্যে ইয়র্কশায়ার আর সুফ্ফল্ক এর দুই স্কুলে নিষিদ্ধ হয়েছে এই পোশাক৷ ছাত্রীদেরকে বলা হয়েছে প্যান্ট পড়ে স্কুলে আসতে৷ এই সিদ্ধান্ত খানিকটা বিতর্কের জন্ম দিলেও অন্যান্য স্কুলগুলোও ভাবছে একই পথে হাঁটার৷ কারণ একটাই, দিনকে দিন ছোট আর টাইট হচ্ছে মিনিস্কার্টের ধরন৷
অতিছোট মিনিস্কার্ট পরিহিতাদের কারণে বিব্রত শিক্ষকরাও৷ করিডোরে, সিঁড়িতে মিনিস্কার্টের বদৌলতে ছাত্রীদের অন্তর্বাস দেখিয়ে ঘুরে বেড়ানো কাঁহাতক আর সহ্য করবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ? দিনকয়েক আগে তাই, পের্টশায়ারের এক স্কুল অভিভাবকদের পাঠালেন চিঠি৷ তাতে লেখা, আপনার মেয়ের মিনিস্কার্টের আকৃতি এতই ছোট যে, সারাক্ষণ সে ব্যস্ত থাকে সেটাকে টেনে নিচের দিকে নামাতে৷ এ কারণে ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছেনা আপনার কন্যা৷
বলাবাহুল্য, ছাত্রীদের অতি ছোট মিনিস্কার্ট পরাটা বিশেষ পছন্দ নয় অভিভাবকদেরও৷ তাই, এই চিঠিতে প্রকারান্তরে খুশি অনেক অভিভাবক৷ বরং তাঁদের ক্ষোভ, পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেস্কোর উপর৷ সংস্থাটি স্কুলে পরার মিনিস্কার্টের আকার এত ছোট করেছে যে, তা সেক্সশপে বিক্রি করা উচিত বলেই মত এক অভিভাবক সিওবান ফ্রিগার্ড -এর৷ অভিভাবকদের ওয়েবসাইট নেটমামে তিনি আরো লিখেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও অতিছোট মিনিস্কার্টের চল বাড়ছে৷
এ নিয়ে বিতর্কে ঘি ঢেলেছেন ডুনস এর এক স্কুলের প্রধান রবার্ট ক্যালি৷ তিনি মন্তব্য করেছেন, ছাত্রীদের অতিছোট মিনিস্কার্ট ছাত্রদের মনে অসৎ চিন্তার উদ্রেক করায়৷ তাঁর এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ স্কটল্যান্ডের ধর্ষণবিরোধী সংগঠন৷ তাদের দাবি, মিনিস্কার্টের কারণে ধর্ষণ হয়না, এটা ধর্ষকের কাজ৷
সে যাই হোক, এই বিপত্তি কাটাতে উদ্যোগী হতে চায় যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলো৷ আপাতত কৌশলে স্কার্টের ঝুল বাড়ানোর দিকেই মনোযোগ তাদের৷ বিশেষ করে স্কুলে এমন স্কার্ট চালুর উদ্যোগ চলছে যেটা সহজে গুটিয়ে উপরের দিকে ওঠানো যাবে।
মূল নিউজ : View this link
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।