ঘুনে খাওয়া হৃদয়টাকে নিয়ে চলতে চলতে আজকাল খুব ক্লান্ত লাগে নিজেকে..
পুড়ে যাওয়া প্রেমের ক্ষতে স্মৃতির বিষাক্ত মলম লাগিয়ে সদা হাস্যেজ্জ্বল মুখোশ পরিধাণরত যুবকের কন্ঠে শুকনো কাগুজে আবৃত্তি শুনে শুনে নিদ্রামগ্ন বিশ্বাসের বাতিঘর। রোদেলা আঁধার কালো রাত পোশাকে নিজেকে সম্পূর্ণ মুড়িয়ে নিয়ে ঘুম পাড়ানির গানে মশগুল।
টুকরো টুকরো নিঃশ্বাসের বিন্দুরা জল কলকল হাসিতে ভাসিয়ে হাসিয়ে দিয়ে যাচ্ছে শহরের ইট-পাথরের দালানগুলোকে। অনুভূতির স্পর্শকাতর সুখ-মল্লিকারা সুখি দোলনায় দোল খেয়ে খেয়ে উড়ে উড়ে হাসছে শুভ্র মেঘের আচল ঘেঁষে ঘেঁষে। প্রত্যাশার ফুল-পাখিদের সুরেলা গানে আনন্দের চিত্রা হরিণী নেচে বেড়াচ্ছে সবুজ, হলুদ বাহারি পাতার বাগানটাকে ঘিরে। জীবনের স্বপ্নবিলাসী অংশটুকু মুচকি হেসে গুন গুন করে গাইছে ভরা পূর্ণিমার আলোক ধাঁধানো গান।
বিষন্নতার আঁধারে মৃত্যুময় জীবন ক্লান্ত অবষন্ন মনে দূর ডাহুকের চিৎকার শুনতে কান পেতে অপেক্ষমান। বুড়ো বটের ঝড়ে যাওয়া হলুদ পাতার মড়মড় শব্দে অনাকাঙ্ক্ষিত সময়ের ইশারা।
আজীবন বেঁচে থাকার উচ্চাশা মনের গহীনে লুকিয়ে লুকিয়ে মৃত্যুর পানে প্রবল বেগে ছুটে চলা অসহায় মানুষের দিকে তাকিয়ে পৃথিবীটা আলস্যের হাসি হাসছে সেই কবে থেকে, তার গননা কেউ কোনদিন করলো না ... পৃথিবীটা রয়ে গেল সবচাইতে বড় অবহেলায় ...
তবুও পৃথিবীর মৃত্যু হয় না, হয় মানুষের মৃত্যু;
পৃথিবী জেগে রয়, জেগে জেগে পাহাড়া দেয়
আজন্ম ঘুমের নেশায় ঘুমিয়ে পড়ে মানুষ ...
সময়ের মরীচিকার মৃত্যুতে উল্লসিত স্টেশন মাষ্টার আবার বাজিয়ে চলে ঢং ঢং ঢং ঢং ............................
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।