সততাই সর্ব উৎকৃষ্ট পন্থা। এই বিষয়টা আমি বুঝি না।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- দুই শ্রেণীর জাহান্নামী এখনও আমি দেখিনি। (কারণ তারা এখন নেই, ভবিষ্যতে আত্মপ্রকাশ করবে) এক শ্রেণী হচ্ছে ঐ সকল মানুষ, যাদের হাতে ষাঁড়ের লেজের মতো চাবুক থাকবে, যা দিয়ে তারা মানুষকে প্রহার করবে।
আর দ্বিতীয় শ্রেণী হচ্ছে- ঐ সকল নারী, যারা হবে পোশাক পরিহিতা কিন্তু তারপরেও তারা থাকবে নগ্ন, তারা পর পুরুষকে আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও আকৃষ্ট হবে; তাদের মাথা হবে উটের হেলানো কুঁজের ন্যায়।
এরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং জান্নাতের সু-ঘ্রাণও পাবে না অথচ জান্নাতের সু-ঘ্রাণ তো এত এত দূর থেকে পাওয়া যাবে। (মুসলিম ২/২০৫, হাদীস: ২১২৮)
আমি মনে করিঃ
যে সমস্ত মেয়েরা নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ করে, আঁকা-বাঁকা ভঙ্গিতে, অর্ধনগ্ন অবস্থায় পুরুষের সামনে দিয়ে চলা ফেরা করে তাদের মুল উদ্দেশ্য আল্লাহ্ রাসুল (সাঃ) ঐ বানী মোতাবেক অপর পুরুষকে আকৃষ্ট করা, একারনেই ঐ সমস্ত নারীরা বিভিন্ন কসমেটিক দিয়ে ঘষে-মেজে নিজেদেরকে পুরুষের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে চায়। তারা চায় পুরুষরা তাদের প্রতি আকর্ষিত হোক। তাদের রূপের প্রশংসা করুক। এবং এভাবে এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেম হয়।
এটাই হচ্ছে হাদিসের দ্বিতীয় অংশের বাস্তবতা যে তারাও আকৃষ্ট হবে। এই কার্যকলাপ গুলো তারা তাদের জন্য জীবন সঙ্গী নির্বাচনের একতা মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করে থাকে।
কিন্তু যে বিষয়টা আমি বুঝি না, তা হল-
যখন তারা জীবন সঙ্গিনী পেয়ে গেল তখন তো আর নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ করার, আঁকা-বাঁকা ভঙ্গিতে, অর্ধনগ্ন অবস্থায় পুরুষের সামনে দিয়ে চলা ফেরা করে অপর পুরুষের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করার প্রয়োজন নেই। তাহলে বিবাহিত নারীরাও কেন বিভিন্ন কসমেটিক দিয়ে ঘষে-মেজে নিজেদেরকে অপর পুরুষের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করার তুলে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।