বিক্ষোভে আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে মিসর। নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী গতকাল ক্ষোভ দিবস পালন করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির সমর্থকরা। এ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে 'শুক্রবারের ক্ষোভ'। তবে এর মধ্যেও ফের গুলি চালিয়েছে সেনাবাহিনী।
খবর বিবিসি, আল জাজিরা, রয়টার্স।
মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুড এক বিবৃতিতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর দেশজুড়ে লাখ লাখ অনুসারীকে বিক্ষোভ মিছিলে নামার ডাক দিয়ে বলেছে, 'আমাদের শহীদদের রক্তক্ষয়ের দুঃখ-বেদনার পরও সামরিক অভ্যুত্থানকারীরা সদ্য যে অপরাধ করেছে তাতে তাদের পতন ডেকে আনতে আমরা আরও দৃঢ় সংকল্প হয়েছি। '
কায়রোয় মসজিদ থেকে কেন্দ্রস্থলের রামসিস স্কয়ারে জড়ো হওয়ার পরিকল্পনা করেছে মুরসি সমর্থকরা। ব্রাদারহুড তাদের সমর্থকদের মসজিদে মসজিদে জড়ো হয়ে সেখান থেকে কায়রোর রাস্তায় রাস্তায় ক্ষোভ মিছিলে নামার আহ্বান জানিয়েছে।
ওদিকে মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, বিক্ষোভ ঠেকাতে কায়রোর গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সেনা মোতায়েন হচ্ছে।
কায়রোর উত্তরপূর্বে মুরসিপন্থিদের বিক্ষোভস্থলগুলো ঘিরে বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সাঁজোয়া যান দিয়ে। কায়রোর কেন্দ্রস্থলেও সশস্ত্র যান নিয়ে টহল দিচ্ছে সেনারা। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সেখানে স্থাপন করা হয়েছে চেক পয়েন্টও। বিক্ষোভ কর্মসূচি সম্পর্কে ব্রাদারহুডের নেতারা বলছেন, মানুষ সামরিক অভ্যুত্থানের শেষ দেখতে চায়। সে কারণে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের হবে।
বুধবারের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চলবে এ বিক্ষোভ। বুধবার সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে ৬২৩ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাদারহুডের হিসাবে এ সংখ্যা অন্তত ২ হাজার ২০০।
মিসরের সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার এ অভিযানের পর এক মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করলেও তা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ ডাকল মুরসি সমর্থকরা। তাদের এ কর্মসূচির পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে মুরসি বিরোধীরাও।
মুরসি বিরোধী দল 'দ্য ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট' এবং 'তামারুদ' শুক্রবার ব্রাদারহুডের 'প্রকাশ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের' প্রতিবাদে মিসরবাসীকে বিক্ষোভে নামার ডাক দিয়েছে। ফলে দেশটিতে আবার বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ওবামার বক্তব্যের সমালোচনা : এদিকে মিসরে সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আদলি মনসুর কায়রোয় দমন অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিন্দা-বিবৃতির সমালোচনা করেছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ওবামার বক্তব্যের কোনো 'সত্য ভিত্তি' নেই। তার বক্তব্যে সহিংসতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো উৎসাহিত হবে।
ওবামা বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নিন্দা জানিয়ে বলেন, 'আমরা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানাই'।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।