স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে চলতে চাই.......
সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের ক্ষেত্রে ম্যাচে অন্তত তিনটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ আছে। প্রথমত, আমাদের ব্যাটিংয়ের শেষ ৫ ওভার। আমাদের ব্যাটিংটা এর আগপর্যন্ত যেভাবে এগোচ্ছিল, তাতে লড়াকু স্কোর করা কঠিন হতো। শেষ ৫ ওভারে ৪৪ রান তুলে একটা মাঝারি মানের স্কোর দাঁড় করিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছে সাকিব ও মাশরাফি।
এরপর বলতে হবে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের আউটের কথা।
৪৫ বলে ৬১ রান করে এই ওপেনার একাই ম্যাচ বের করে নিয়ে যাচ্ছিল। ওকে বোল্ড করে সাকিব আবার ম্যাচে ফেরাল বাংলাদেশকে। তবে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে গেল আসলে রস টেলরকে আউট করে। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে বা বোলিংয়ে এর আগপর্যন্ত কী করেছে, সব ভুলে যান; এক রস টেলর উইকেটে থাকলে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ বের করে নিত নির্ঘাত।
টেলর স্বভাবমতো ৪২ রান করে ইনিংসটা এগিয়েও নেওয়া শুরু করেছিল।
ওর সম্পর্কে যতটুকু জানি, যতটুকু দেখেছি, তাতে এ রকম সময়েই ওর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার কথা। কিন্তু আসল সময়ে ওকে এলবিডব্লু করে বাংলাদেশের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে নাঈম।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে টেলরের অবদান কতটা, সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। ২০০৭ সালে ওর বিপক্ষে আমার খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এরপর গত সিরিজে দেখেছি ও কীভাবে আমাদের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেছে।
শেষ ওভারগুলোতে নিউজিল্যান্ডের যদি ওভারপ্রতি ১০ রান করেও দরকার হতো, তাও টেলর ম্যাচ বের করে নিত। ওর মতো বিপজ্জনক ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে নাঈম আমাদের ম্যাচ হাতে পুরেছে—এটা বলা অত্যুক্তি হবে না।
হাবিবুল বাশার, সাবেক অধিনায়ক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
সূত্র : প্রথম আলো
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।