নিজের বিষয়ে কিছুই বলিবার নাই
আসসালামু আলাইকুম,
দেশে উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ চাকুরির ক্ষেত্রে ''মুক্তিযোদ্ধা কোটা'' বলিয়া একটি প্রথা চালু রহিয়াছে। আমি এই কোটা-প্রথার বিরোধী।
কারণ পিতার কারণে পুত্রকে কেন সম্মানিত করিতে হইবে?---দয়া করিয়া আমাকে বুঝাইয়া দিন।
দেশের প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাকে ১০ কোটি টাকা দিন---আপত্তি করিবো না।
প্রত্যেককে একটি করিয়া বাড়ি দিন---আপত্তি করিবো না।
প্রত্যেককে আজীবন বিনা পয়সায় চিকিৎসার সেবা দিন--আপত্তি নাই।
কিন্তু তাহাদের পুত্রকন্যাকেও কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগসহ চাকুরি দিতে বাধ্য থাকিবো?
যোগ্য প্রার্থীদিগকে পিছনে ফেলিয়া দিয়া অনেক অযোগ্য প্রার্থী এই মুক্তিযোদ্ধার কোটারির সুবিধা নিয়া চাকুরি বাগাইয়া নিতেছে।
এইটার নাম ন্যায়বিচার নহে। এইটার নাম জালিয়াতি।
আরো কথা রহিয়াছে।
এক সার্টিফিকেট কয়বার ব্যবহার করা যাইবে?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় একবার সার্টিফিকেট ব্যবহার করা হইলো। তাহা করুক--আপত্তি নাই।
কিন্তু আবার চাকুরির বেলায় সেই একই জিনিস ব্যভহার করা নাজায়েজ বলিয়া শুধু ধারণাই করি না। প্রবলভাবে বিশ্বাসও করি।
আপনি একবারর ঢাকা-চট্টগ্রামের বাসের টিকিট খরিদ করিয়া সেই টিকেট দেখাইয়া কি ঢাকা-খুলনার বাসেও বিনাপয়সায় যাতায়ত করিবেন?
আমি মুক্তিযোদ্ধাগণকে শ্রদ্ধা জানাইতে প্রস্তুত রহিয়াছি।
তাহাদের পায়ের ধুলা পরিষ্কার করিয়া দিতেও রাজী রহিয়াছি।
কিন্তু তাহাদের গুণধর পুত্রকন্যাদের প্রতি আমার কোনো প্রীতি নাই।
তাহারা যদি নিজের-নিজের যোগ্যতায় শ্রদ্ধা অর্জন করিতে পারেন--আপত্তি নাই। তাহাদিগকে সালাম।
কিন্তু পিতার অর্জন দিয়া নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করিবার সুযোগ যাহারা নিয়া থাকে আর সেই সুযোগ যাহারা দিয়া থাকে--তাহা উভয়ের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা জানাইয়া যাই।
জানাইয়া যাইবো।
মুক্তিযুদ্ধ কোনো পৈত্রিক ব্যবসা নহে। উহা কাহারো পৈত্রিক সম্পত্তিও নহে।
পীরের সন্তানকে যাহারা ''পীর'' বলিয়া মানিয়া লহেন তাহাদের কথা ভিন্ন।
মুক্তযোদ্ধার সন্তানদগিকে কেন নিজের বসিবার জায়গাখানা চাড়িয়া দিতে হইবে।
যেখানে আমার রুটি-রোজাগারের প্রশ্ন রহিয়াছে?
কেন আমার পিতার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফেকেট নাই বলিয়া আমি চাকুরি পাইবো না? কেন আমি চাকুরির পরীক্ষায় প্রাপ্য নম্বর পাইয়াও কোটার কারণে বঞ্চিত হইবো?
উহারা যদি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলিয়া চাকুরি বাগাইতে পারে তাহা হইলে আমাকে কুত্তার বাচ্চা বলিয়া ঘোষণা করা হউক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।