ঘটনাটা ২০০৫এর প্রথম দিককার। মানুষের ঘরে ঘরে (হাতে হাতে) মোবাইল ফোনের আগমনধ্বণি শোনা যাচ্ছে।
সেই সময়ে ফ্লেক্সিলোড,আই টপআপ এসব ছিলোনা (গ্রামীনফোন ফ্লেক্সিলোড শুরু করেছিলো ২০০৫এর এপ্রিল-মে তে)। ৩০০টাকার কার্ডের মেয়াদ ছিলো ২১দিন। তখন কার্ড কিভাবে রিচার্জ করে,তা জানতাম না(যেহেতু পোস্টপেইড ব্যবহার করতাম, তাই রিচার্জ করার ব্যাপারটা সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলাম)।
যাই হোক, গেলাম একদিন আমার এক আত্মীয়ের বাসায়, তারা গ্রামীনফোন প্রিপেইড ব্যবহার করতো। এই কথা সেই কথার পর হঠাৎ খালা এসে আমাকে বলছে, নয়ন, কার্ডটা একটু রিচার্জ করে দে তো। আমিতো মহা সমস্যায় পড়লাম, যদিও না জানাটা আমার অপরাধ না,তবু লজ্জায় বলতে পারছিলাম না। আমি রিচার্জ করার ব্যাপারটা ভাবতাম, হয়তো কার্ডটা মোবাইল ফোনের ভেতরে রেখে দিলেই(মানে, ব্যাটারি খুলে তার ভেতরে রেখে দেয়া!!)রিচার্জ হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা।
এমন সময় খালাতো ভাই পাভেল আসলো এবং তাকে বললাম, পাভেল, খালা তোমাকে কার্ডটা রিচার্জ করতে বলেছে। দেখলাম, খুব স্বাভাবিকভাবেই কার্ডের একটা নির্দিষ্ট অংশ স্ক্র্যাচ করে,নাম্বারটা নিয়ে কি কি যেন ডায়াল করলো এবং রিচার্জ হয়ে গেলো(মানে, কার্ডটা ব্যাটারি খুলে ওখানে রেখে দেয়নি!!)।
তাই বলি কি, আগে কি ভাবতাম, পরে কি জানলাম!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।