নষ্ট পথে হাটছি আমি,দগ্ধ হৃদয় নিয়ে। কিছু জিনিস নিয়ে কথা বলতে কেমন যেন কষ্ট হয়। তারপর ও তা নিয়ে কথা না বললেই নয়। সর্ম্পূন বাংলাদেশ এখন IPL T-20 জ্বরে ভুগছে। ক্রিকেটএই ছোট সংস্করন T-20 সকল ক্রিকেট প্রেমির মন জয় করে নিয়েছে।
টেষ্ট বা ওয়ানডে যেখনে দেখতে হলে ঘন্টার পর ঘন্টা দেখতে হয়, সে জায়গায় টুয়েন্টি টুয়েন্টি দেখতে অল্প কিছু সময় লাগে। তার মধ্যে আবার চিয়ার লিডার এর নৃত্য খেলাটাকে আর প্রাণবন্ত করে তুলে। ছেলে-মেয়ে,বুড়া- বুড়ি,আন্ডা বাচ্চা সবারই এই IPL ভালো লাগে। তো আমার এক পরিচিত এক ছেলে আছে। যে IPL এর পাগল।
বয়স খুব একটা বেশি না। ক্রিকেট খুব ভালোবাসে। IPL এর প্রত্যেকটি টিমের নাম জানে। এটা ও জানে যে কোন টিমের মালিকের নাম কি। কোন টিম এর ক্যাপ্টনকে,খেলো য়াড় এর নাম।
সবচাইতে অবাক করার বিষয় সে ইন্ডিয়ার ভূগোল এই IPL এর কারণে নখদর্পনে করে ফেলেছি। প্রত্যেকটা জায়গার নাম পটপট করে বলতে পারে। কোন দলটি কোন প্রদেশে পরছে এটা ও জানে। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম এত সব জানলি কিভাবে??উত্তর বাবা বলছে। তাকে প্রশ্ন করলাম আচ্ছা বাংলাদেশের কয়েকটা বিভাগেরনাম বল তো।
সে ঢাকা,সিলেট,চিটা গাং,কুমিল্লা,খু লনা,রাজশাহী বলে চুপ!!! প্রশ্ন করলাম তোমার স্কুলে বাংলাদেশের বিভাগ পড়ায়নি??উত্তরে বলে এখন ও পড়ায়নি বাংলা এখন ও পাই নাই। বললাম বাবা বাংলাদেশ সর্ম্পকে কিছু বলে না? উত্তরে বলল না। তারপর শুরু করল আবার IPL এর গুনগান।
আজীব বাঙ্গালি হচ্ছি আমরা দিন দিন। নিজের দেশ সর্ম্পকে সাধারণ কিছু না জানিয়েই অন্য দেশ সর্ম্পকে Phd করিয়ে দিচ্ছি নিজের ছেলে মেয়েকে।
নিজের মাতৃভাষায় ঠিক মত কথা বলতে শিখে নাই কিন্তু হিন্দিতে বুলি আউরাচ্ছে। আমরা ৫২ তে ভাষা আন্দোলন করছিলাম নিজের ভাষার জন্য। উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা না করার জন্য। কিন্তু এখন আবার আমার ভাই,বোন,বন্ধু,ছ েলে বা মেয়ে হিন্দিতে পট পট করে কথা বলছে। কিছু বললে বলে আরে এটা কোন সমস্যা না।
যদিবলি নিজের ভাষার জন্য মানুষজীবন দিয়েছিল এটা জানা সত্ত্বেও অন্য ভাষায় কথা বল। তখন তাদের অকপটে উত্তর আরে এটা তো উর্দু চাই না বলে হয়েছিল। হিন্দি বললে সমস্যা না। আমার তখন মাথায় একটা প্রশ্ন আসে হিন্দী আর উর্দুর মধ্যে তো খুব একটা পার্থক্য নাই। হিন্দি যদি পট পট করে বলি তাহলে এক অর্থে মনের অজান্তে উর্দুই তো বলছি।
।
আমার কাছের সব বন্ধু বান্ধবজানে যে আমি হিন্দী বুঝিনা। আসলে আমার কোন ইচ্ছা নাই এমন একটা ভাষায় কথা বলব বা বুঝব যার সাথে যে ভাষায় কথাবলব না বলে আমার পূর্বপুরুষরক্ত দিয়েছে তার সাথে সর্ম্পক আছে। ।
সবাই বুঝে যে বাংলা ভাষার কি অমূল্য ভান্ডার আছে কিন্তু একটু দেরি করে।
যেমনটি বুঝেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।