ফেসবুক আইডি:নাই
হাইকোর্টে নিয়োগপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস বাবু ও অ্যাডভোকেট মো. খসরুজ্জামানের শপথের জন্য অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। যে কোনো সময় তাদের শপথ করানো হতে পারে। শপথের পক্ষে সরকারের উচ্চমহলে আলোচনা চলছে।
এ দুই বিচারপতিকে শপথ না পড়ানোর বিষয়ে প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের দৃঢ় অবস্থান এবং নিয়োগ বাতিল না করার সিদ্ধান্তে সরকার অনড় থাকায় গত প্রায় ৬ মাস ধরে বিষয়টি ঝুলে আছে। প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম আজ অবসরে যাচ্ছেন।
তার স্থলাভিষিক্ত প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক দায়িত্ব গ্রহণের পর অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস বাবু ও অ্যাডভোকেট মো. খসরুজ্জামানকে শপথ করাবেন বলেই মনে করছেন সরকারের নীতিনির্ধারক মহল। এদিকে সরকারের উচ্চ মহলের দেওয়া আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে এ দুই বিচারপতি শপথের জন্য অপেক্ষা করছেন। এ অবস্থায় তারা আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে পারেননি। আবার, বিচারপতির আসনেও বসতে পারেননি। ফলে, নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নিভৃতে বসবাস করছেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশে গত ১১ এপ্রিল অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস বাবু ও অ্যাডভোকেট মো. খসরুজ্জামানসহ ১৭ জনকে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। এ ব্যাপারে ওইদিন প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হয়। একটি হত্যা মামলার আসামি উল্লেখ করে রুহুল কুদ্দুস বাবু এবং প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিলেন উল্লেখ করে মো. খসরুজ্জামানকে শপথ না পড়ানোর দাবিতে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা সেসময় প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অবশ্য ওই সমিতির আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতারা এ দুজনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে সোচ্চার হন। এ পরিস্থিতিতে ১৮ এপ্রিল রুহুল কুদ্দুস বাবু ও মো. খসরুজ্জামানকে বাদ দিয়ে বাকি ১৫ জনকে শপথ পড়ানো হয়।
সরকার গতবছর মামলা প্রত্যাহার করলে রুহুল কুদ্দুস বাবু অভিযোগমুক্ত এবং মো. খসরুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।