আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক হাতে তালি বাজে না।

বলার মত কিছু থাকতে হবে তো!

শেখ হাসিনা ঠিক কথাই বলেছেন- এক হাতে তালি বাজে না। পাবনায় যে ঘটনা ঘটেছে তা থেকে বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ এসোসিয়েশন বা তথাকিথত “প্রশাসন” শিক্ষা নেবে কী-না জানিনা। কিন্তু জেগে উঠছে বাংলাদেশ এ কথা সত্য। স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা পূর্ববর্তী আন্দোলনগুলোর কথা চিন্তা করুন। সে সময় দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো ভালো ছাত্র যারা ছিলেন তাঁরা বেশীরভাগই হয় বাম রাজনীতি করতেন বা বাম সুরে কথা বলতেন।

আবার অল্পকিছু ভালো ছাত্র ডান পন্থীও ছিলো। তোফায়েল আহমেদ-কে তখন গুন্ডা ভাবা হতো! হয়তো গুন্ডাই ছিলেন তিনি। কিন্ত সরকার সমর্থিত এনএসএফ-কে ঠেকানোর জন্য ওরকম গুন্ডার দরকারও ছিলো। জামাতে ইসলামী যে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো তা কিন্তু ভালো ভালো কথা বলেই করেছিলো। পঙ্কেই পদ্ম জন্মে।

পাবনার ঘটনায় হয়তো আওয়ামী দলীয় লোকদের দোষ আছে। বেশ ভালোমতোই আছে। কিন্তু এ তো আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি-রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটানো। যদি তাই না পারতো তবে সাধারণ মানুষতো বার বার তাঁদের ভোট দিত না। জনপ্রিয়তার জন্য দলীয় নেতাদের নিয়োগ বানিজ্য করাটা স্বাভাবিক।

কিন্তু প্রশাসনতো জনপ্রিয়তা অর্জন বা নিয়োগ বানিজ্য করার জন্য নয়। পুলিশ তথাকথিত “প্রশাসন” এর কথা শুনবে কেন? প্রশাসনতো দলীয় নেতাদের তাবেদারি করে। এখন একজন এমপি বা মন্ত্রীর কথা, তথাকথিত মেধাহীন “প্রশাসন” এর ভায়া বা মাধ্যম হয়ে না শুনে সরাসরি শোনাই তো ভালো। পুলিশ “প্রশাসন” ক্যাডারের ডিসি বা ইউএনও-এর পেটোয়া বাহিনী হয়ে কাজ করতে আর রাজী নয়। তারা অনেকটাই বদলে যাচ্ছে।

দেখতে পাচ্ছি পুলিশ ক্রমেই জনগনের সাথে দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করছে। আমি অন্তত: পুলিশের এই অবস্থানটাকে সাধুবাদ দিই। “প্রশাসন” বা “সচিবালয়” গুন্ডামি শুধু জনগনের সাথে করে তাই নয়। এরা গুন্ডামি করে পুলিশ ক্যাডারসহ অন্যান্য বাকী উনিত্রশটা ক্যাডারের সাথেই। সচিবালয় যেন সব ধরনের কাজ করতে পারে এজন্য সব ক্যাডার থেকে কর্মকর্তাদের উপসচিব পদে আনুপাতিক হারে নেয়ার কথা।

নেয়া হয় না। নানা রকম খোড়া অজুহাত তুলে। যাও বা নেয়া হয় তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ কোন দায়িত্ব দেয়া হয় না। আবার বেশী বয়সের কর্মকর্তা নেয়া হয়, যেন অন্য ক্যাডারের কেউ সচিব হওযার আগেই অবসর নিয়ে ফেলেন। শয়তানির এখানেই শেষ নয়- অন্য ক্যাডারে প্রমোশন ঝুলে থাকে বছেরর পর বছর।

তাঁরা ডিপিসি-তে বসে না। আর তাঁদের নিজেদের জন্য বছরে তিনবার করে ডিপিসি বসিয়ে তিনবার করে প্রমোশন নেন এই তথাকথিত “প্রশাসন” ক্যাডারের লোকেরা। তাতে দেখা যায় যায় যে অন্য ক্যাডারের ২০ তম ব্যাচের কর্মকর্তা যেখানে এন্ট্রি লেভেল-ই পার হতে পারেননি, সেখানে তাঁরা প্রমোশন পেয়ে ইউএনও/সিনিয়র সহকারী সচিব হয়ে বসে আছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।