পদ হারালেও ব্যস্ততা কমেনি সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের। তবে নগরভবনের জুটঝামেলা না থাকায় রাজনীতি আর সামাজিক ব্যস্ততার ভিড়ে এখন পরিবারের জন্যও আলাদা করে কিছু সময় বের করে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে তার। কামরানের নামের সঙ্গে মেয়র পরিচয়টা যখন বাঁধা ছিল তখন পরিবারের জন্য কামরান ছিলেন অনেকটাই যেন 'দূরের মানুষ'।
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান যখন থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র, তখন থেকেই সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব কাঁধে থাকায় দলের জন্য আলাদা করে সময় বের করা কষ্টসাধ্যই ছিল।
মেয়র পদ না থাকায় এখন মনপ্রাণ ঢেলে কাজ করছেন দলের জন্য। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত করতে পাড়ায় পাড়ায় ছুটছেন। উদ্যোগ নিয়েছেন ওয়ার্ড কমিটিগুলো পুনর্গঠনের।
মেয়র থাকাকালীন থেকেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের আলাদা সম্পর্ক ছিল। ব্যস্ততার ভিড় ঠেলেও তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন।
বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়মিতই তার উপস্থিতি ছিল। কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় কামরান ছাড়া আর কোনো বিকল্প ভাবতে পারতেন না প্রতিষ্ঠানের কর্তারা। কামরানও বিমুখ করতেন না তাদের। দীর্ঘদিনের সেই ধারাতে ছেদ পড়েনি এখনো। প্রতিষ্ঠানের ফিতা কাটার অনুরোধ জানিয়ে এখনো কামরানের দ্বারস্থ হন উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা।
বিয়ের নিমন্ত্রণও রাখতে হচ্ছে প্রতিদিন। বরং এখন চাপটা একটু বেশিই থাকে_ না গেলে যদি দাওয়াতকারীরা কিছু মনে করে। কামরান মনে করেন মেয়র পদ হারালেও সাধারণের হৃদয়ের আসনে এখনো তিনি ঠিকই রয়ে গেছেন।
মেয়র হিসেবে ব্যস্ততা কমায় কামরান এখন ধীরে ধীরে 'কাছের মানুষ' হয়ে উঠছেন তার পরিবারের সদস্যদের কাছে। তারা এখন কামরানকে নিয়মিতই কাছে পাচ্ছেন।
এক টেবিলে বসে খাচ্ছেন, সুখ-দুঃখের গল্পে মেতে উঠছেন। কামরানের শখের মধ্যে একটি ছিল নিজ হাতে বাজার করা। মেয়র থাকাকালে সেটা ছিল তার জন্য কষ্টসাধ্য। ব্যস্ততার কারণে হাতে নেওয়া হতো না বাজারের ব্যাগ। এখন প্রায়ই নিজ হাতে বাজার করেন পরিবারের জন্য।
কাঁচাবাজার থেকে মাছবাজার ঘুরে ঘুরে তিনি পছন্দের জিনিসপত্র কেনেন। বাজার করতে গেলেও লোকজন ভিড় করেন কুশল বিনিময় করতে। এমনটা জানালেন কামরান। সিটি নির্বাচনের পর বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের জন্য মধুর যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে নেতা-কর্মীদের চাপ। এ অনুরোধে নিয়মিত নেতা-কর্মীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
এ প্রসঙ্গে কামরান বলেন, নির্বাচনের চেয়ে দলের কাজে আত্দনিয়োগ করতে পারাটাই তার কাছে বড়। তারপরও নেত্রীর সিদ্ধান্তেই তিনি পথ চলবেন। কামরান চান জনগণের যে ভালোবাসা তিনি অর্জন করেছেন তার যাতে কোনো অমর্যাদা না হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।