প্রতিদিন যা পড়ি পত্রিকার পাতায়, ভাললাগা-মণ্দলাগা সবই শেয়ার করি সবার সাথে।
সমকাল ডেস্ক
জাতিসংঘে আহমাদিনেজাদ
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি অংশের সাজানো। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে মন্দা অবস্থা থেকে বের করে আনা এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদি রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন। তার এ মন্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াকআউট করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো।
কিন্তু প্রতিবাদ সত্ত্বেও ভাষণ
অব্যাহত রাখেন আহমাদিনেজাদ। তার বক্তব্যের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের বাইরেও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
আহমাদিনেজাদ বলেন, মার্কিন সরকারের কিছু অংশ সুপরিকল্পিতভাবে টুইন টাওয়ারে হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির মন্দাভাব কাটিয়ে তোলা এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদি রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ইরাক ও আফগানিস্তানে হামলার অজুহাত তৈরি করা হয়েছে।
আহমাদিনেজাদ বলেন, আল কায়দা এ হামলা চালিয়েছে এমন অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ মানুষ, অধিকাংশ দেশ ও বিশ্বের রাজনীতিবিদরা বিশ্বাস করেন না।
শক্তিধর দেশগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বানচাল করার জন্য এসব দেশ নেতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। এসব দেশ পরমাণু অস্ত্রের সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে। আগামী বছর ইরান সন্ত্রাসবিরোধী সম্মেলনের আয়োজন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'পরমাণু শক্তি সবার কিন্তু পরমাণু অস্ত্র কারও নয়' এ বক্তব্য ধারণ করে ২০১১ সালকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব ঘোষণা করা উচিত।
ইরানি প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থা ও পুঁজিবাদ ব্যর্থ।
ধর্মপ্রাণ মানুষেরই নেতৃত্বে আসা উচিত। আহমাদিনেজাদের ভাষণের আগেই বক্তব্য দিয়ে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আহমাদিনেজাদের ভাষণের পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস জানান, ইরানি নেতার উস্কানিমূলক মন্তব্যে ওবামা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গতকাল বিবিসি পার্সিয়ান টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আহমাদিনেজাদের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ওবামা বলেছেন, তার মন্তব্য ঘৃণ্য, আক্রমণাত্মক ও ক্ষমার অযোগ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাস্টন বলেন, আহমাদিনেজাদের মন্তব্য উস্কানিমূলক ও অগ্রহণযোগ্য।
খবর : এএফপি, বিবিসি, সিএনএন অনলাইনের।
৯/১১-এর হামলার সঙ্গে আফগান ও ইরাক যুদ্ধের তুলনা করে আহমাদিনেজাদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে হামলায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে যার জন্য আমরা শোকাহত; কিন্তু ইরাক ও আফগানিস্তানে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও লাখ লাখ আহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। সংঘর্ষ এখনও অব্যাহত আছে।
যুক্তরাষ্ট্রে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর পরিকল্পনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাইবেল ও কোরআন উভয়ের প্রতিই তিনি শ্রদ্ধাশীল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।