"You may like a situation which is not good for you And You may dislike a situation which is good for you." (Al- Quran)
( -ছেলে = মেয়ে)
- কেমন কাটালে ঈদের দিন?
= ঝাক্কাছ! তোমার কেমন কাটল?
- আক্কাছ!
= মানে?
- এদেশের সলিমুদ্দি, কসিমুদ্দি, আক্কাছ প্রভৃতি লোকের যেমন কাটে... কিংবা হয়ত ওদের চেয়েও খারাপ!
= কেন? তুমি কী ভাত, কাপড়, সেমাই-পোলাও পাও নি!
- না তা পেয়েছি... কিন্তু ভাত-কাপড় আমাকে টানে না... পোলাও তো আরো না! আই ইট টু লিভ... নট লিভ টু ইট!
= তাহলে ঈদের দিন বসে বসে করলেটা কী?
- ভেবেছি...
= বিরাট ভাবুক দেখছি! ঈদের দিনও বাদ যায় না! তা কী ভাবলে?
- আমি ভাবি অনাহারী মানুষ, সহায় সম্বলহীন মানুষ তারা কীভাবে ঈদ করছে... তারপর ধর মঙ্গাকবলিত এলাকার মানুষ... তারা কীভাবে ঈদ করছে?
= ভেবে আর কী করবে? পারলে ওদের জন্য কিছু একটা করে ফেল না?
- সাধ আছে মোর ষোল আনা/সাধ্য আছে বলো কই?/কর্ম করেও বেকার দশা/চোখ থাকিতে অন্ধ রই!
= এই সর্বনাশ! আজকের দিনে কোন কবিতা চলবে না! আজ শুধু খুশি, খুশি এবং খুশি... বেদনাগাঁথা কাব্যের দিন সামনে অনেক পড়ে আছে!
- তোমার খুশির কথা তো ঐ একটাই... ঠিক আছে সে প্রসঙ্গেই যাওয়া যাক! মোট কত টাকা সালামী পেলে?
= দশহাজার চারশ’ তেত্রিশ টাকা!
- সালামীর মধ্যে খুচরা তেত্রিশ টাকা আসলো কীভাবে?
= মুন্নাভাই দি গ্রেট!
- ও সেই মুন্নাভাই এমবিবিএস! তো উনি বুঝি তেত্রিশ টাকাই সালামী দিলেন? (সুমনুসংলাপ-৪৭ দ্রষ্টব্য)
= আরে না! তেত্রিশ টাকা দেয় নি... দিয়েছে একহাজার চারশ তেত্রিশ টাকা।
- এটা আবার কেমন অংক?
= উনি প্রতিবারের মত একহাজার টাকাই দিয়েছিলেন। টাকাটা নিয়ে আমি বললাম ভাইয়া আপনার মানিব্যাগে মোট কত টাকা আছে? উনি দেখে বললেন,‘একহাজার চারশ’ তেত্রিশ টাকা... আমি বললাম পুরো টাকাটাই আমাকে দেন। তারপর বিনাবাক্যব্যয়ে উনি দিয়ে দিলেন! দেখলে তো দেখিয়ে দিলাম!
- কী দেখিয়ে দিলে?
= তুমি ছাড়াও ১০০% সেলামী দেয়ার লোক আছে! এবং বি.দ্র. এ ১০০% মানে কখনোই ১০০ টাকা না... মিনিমাম ১০০০ টাকা!
- হা হা হা হা হা...
= হাবার মত হাসছ কেন?
- উনি কী প্রথমে নিজ থেকে সবটাকা দিয়েছেন? দেননি! তোমাকে চেয়ে নিতে হয়েছে! আর আমি নিজ থেকেই আমার ১০০% মানে ১০০ টাকা দিতে চেয়েছি... এবং এরপরও তুমি আমাকে পা ছুঁয়ে সালাম দূরে থাক্ মুখেও সালাম দাও নি! তোমার কাছে “সবার উপরে টাকা সত্য তাহার উপরে নাই!”
= এ প্রসঙ্গে আর কোন কথা বললে আমি চলে যাব!
- ঠিক আছে ঠিক আছে এ প্রসঙ্গ বাদ! কথায় বলে না... ‘অর্থই অনর্থের মূল!’ এবার তাহলে কী প্রসঙ্গে আসা যায়?
= তুমি হলা আইডিয়াবাজ... তুমিই বের কর।
- ঈদ মাত্র শেষ হল।
এখন যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলা সবচে’ যুক্তিযুক্ত তা হল খাবার-দাবার। যদিও এ বিষয়ে কথা বলা আমার মোটেও পছন্দ নয়...
= খাবারের সঙ্গে খরচের যোগ আছে সেজন্যই...!
- তোমার কথা কিঞ্চিৎ সত্য! কারণ যে কেউ স্বীকার করবে ঢাকার অভিজাত রেস্টেুরেন্টগুলো মরা মুরগি ও পঁচা মাছের দাম একটু বেশিই রাখে!
= আমি আর তুমি যেগুলোতে গিয়েছি সেগুলোতে খাবারের মান নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই।
- আছে! একটা জোক শোন... এক লোক ঢাকার এক রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিকেন ফ্রাই এর অর্ডার দিল। কিছুক্ষণ পর ওয়েটারকে বলল,‘আচ্ছা এই যে চিকেন ফ্রাইয়ের মুরগীটা এটা কী জীবিত ছিল না মৃত? ওয়েটার হেসে বলে,‘স্যার যে কী বলেন? জীবিত মুরগীর আবার চিকেন ফ্রাই হয় না কী!... হা হা হা হা
= ওরে আমার জোক রে! হেসেই কুল পাচ্ছে না... এটা জোক না এটা তোমার বানানো জোঁক!
- আচ্ছা ঠিকাছে জোঁক থেকে এবার গরুতে আসা যাক্... গরুর মাংস তো তোমার ফেভারিট। এতই ফেভারিট যে...
= বাক্য টা শেষ কর...
- তোমার এক বান্ধবী... সঙ্গত কারণেই নাম বলতে চাচ্ছি না... আমাকে জানিয়েছে আমি না কী কিছুটা গরু মার্কা বলেই তুমি আমাকে এত পছন্দ কর!
= কথা কিঞ্চিৎ নহে পুরোপুরিই সত্য! আমি চাই গরু এবার দুই পায়ে দাঁড়াক!
- মানে?
= তোমাকে দাঁড়াতে বলছি...
(ছেলেটা দাঁড়াল।
‘ঐ দেখ আকাশে একটা চিল...মুরগী খুঁজছে বোধহয়!’ ছেলেটা তাকাল। এই ফাঁকে মেয়েটা পৃথিবীর দ্রুততম পা ছোঁয়া সালাম সম্পন্ন করল। )
= তুমি যে আসলেই একটা গরু সেটা এখনই প্রমাণ হবে। দেখি কত টাকা তুমি সালামী দিতে পার?
- এখনই প্রমাণ হল যে আমি গরু না। গরুর পা ছুঁতে গেলে গরু পা দিয়ে লাথি দেয়... আর আমি তোমাকে মানিব্যাগ দিচ্ছি।
১০০% সালামী তোমার জন্য...
= তোমার মানিব্যাগে আর কতই বা থাকবে?
- গুণেই দেখ...
= ওয়াও! একহাজার পাঁচশ সাতষট্টি টাকা! সবটাই আমার?
- হ্যাঁ সবটাই তোমার... তা নইলে ১০০% সালামী হবে কীভাবে? মূল বিষয়টা হল আমি মুন্নাভাই এর চাইতে অন্তত দুটো দিক দিয়ে এগিয়ে থাকতে চাই...
= কোন দুদিক?
- ১/ সালাম পাওয়া ২/ সালামী দেয়া!
= তুমি আসলে গরু হলেও ভাল গরু! এ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত নও!
- আমি তো গরুর মাংস খাইনা। আমার এ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তুমি যেহেতু গরুর মাংস খাও তোমার বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে! এই ঈদে মোট ১২০০০ টাকা সালামী পেলে... বেশ কিছু টাকা দান করে দিও গরীব-দুঃখীদের মাঝে।
= ঠিক আছে।
- দান অবশ্য এখনি শুরু করতে পার!
= কই গরীব দুঃখী কাউকে আশে-পাশে দেখছি নাতো?
- আমাকেই ১০ টাকা দাও।
বাসায় যেতে বাস ভাড়া তো লাগবে!
-------------------------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।