সুস্থ ধারার রাজনৈতিক সমালোচনা করতে চায়। হেফাজত ইসলাম ঢাকার শাপলা চত্ত্বরে পর পর মোট ৩ টি সমাবেশের আযোজন করে, পর পর দুটি সমাবেশে প্রচুর জন সমাগাম ও মিডিয়ার আলোড়ন দেখে হেফাজতিরা প্রথমে বেশ উৎফুল্ল ও অত্নতৃপ্তিতে ভুগেন, তারা ধরে নিয়েছিল এই বুঝি বাংলাদেশ তাদের কব্জায় চলে এসেছে, বিশেষ করে ২য় দফায় সমাবেশে ব্যাপক লোক সমাগম দেখে খোদ বি,এন,পিও খুশিতে আত্নহারা হয়েপড়ে, বি,এন,পির পক্ষ হতে ঐ হেফাজতির সমাবেশের মঞ্চে সরাসরি অংশ নিয়েছিল ও সমর্তন দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ গত ৫ই মে শাপলা চত্ত্বরের হেফাজতির ৩য় দফা সমাবেশটি ছিল বি,এন,পিও জামাত শিবিরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ হেফাজতির কঠোর মনোবল ও শক্ত অবস্থান দেখে বি,এন,পি জামাত শিবির ১০০% নিশ্চিত হন এই সরকারের বিধায় ঘন্টা বেজে গেছে, তখন দিঘন্ত ও ইসলামী টিভির পর্দা দেখে মনে হয়েছিল সত্তি সত্তি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আওয়ামীলীগ সরকারের নিশ্চিত পতন হবে। ঐ দিন ৫ ই মে বি,এন,পির নেতৃীত্বে ১৮ দলীয় জোট তাড়া হুড়া করে তাৎক্ষণিক ৬ ই মে বি,এন,পির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন, উদ্দেশ্য একটাই ঢাকা শহর দখলে নেওয়া, বিশৃঙ্কলা করে অরাজক অবস্থা তৈরী করে সরকার পতন নিশ্চিত করা, বি,এন,পির পক্ষ হতে এই সময় সরাসরি ঘোষণা দেওয়া হয়, ১৯৯৬ সালে মহিউদ্দীন খান আলমগীল যদি সচিবালয়ের সামনে জনতার মঞ্চ তৈরী করে অবস্থান কর্মসুচি দিয়ে সরকার পতন ঘটাতে পারে, হেফাজত কেন শাপলা চত্ত্বরে অবস্থান কর্মসুচিয়ে বর্তমান সরকারকে পতন করাতে পারবেনা? ৬ ই মে বি,এন,পির সমাবেশের ঘোষণা ছিল মুলত হেফাজতের অবস্থান কর্মসুচির সাথে এক হয়ে মিশে মরাত্বক নৈরাজ্য গন্ডোগোল নাশকতা , সন্ত্রাসী সৃষ্টি মাধ্যমে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে সরকার পতন করা, কিন্তু হেফাজত , বি,এন,পি ও জামাত শিবির ভুলে গিয়েছিল বর্তমান সরকার একটি জনগনের পবিত্র ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার, এই সরকার গঠিত হয়েছি শতকরা ৪৯% ভোটারের সমর্তন সহ ২৬৪ টি আসনে নির্বাচিত হয়ে। পক্ষান্তরে বি,এন,পি হলো চোর বাটপার, র্দুনীতি বাজ একটি দল, আর জামাত হলো মানবতা বিরুধী যুদ্ধ অপরাধীদের দল, আর হেফাজত হলো একটি অরাজনৈতিক র্ধম অন্ধ, র্ধমীয় কুষ্কারে বিশ্বাসী একটি অধি যুগের বিশ্বাসী উগ্র মৌলাবাদী সংঘঠন, বি,এন,পির মনে রাখা উচিত ছিল এই সমস্ত উগ্রমৌলবাদী দল গুলো নিয়ে সাময়িক উৎশৃঙ্কলা আর বিশৃঙ্কলা তৈরী করা সম্ভব কিন্তু একটি বৈধ নির্বাচিত সরকার পতন সম্ভব নয়, একটি বৈধ নির্বাচিত সরকার পতন করাতে হলে চায় ব্যাপক জন সমর্তন ও নির্বাচন, বি,এন,পি ৪ ই মে ঠিক হেফাজতের কর্মসুচির আগেরদিন ৪৮ ঘন্টার সরকার পতনের আল্টিমেটাম ঘোষণা দেন, কারণ পরের দিন ৫ ই মে ছিল হেফাজতের কর্মসুচি, টিক ৬ ই মে আবর বি,এন,পি জনসভার ঘোষণা দেন, এই চিত্র দেখে স্পষ্ট হয়ে যায় বি,এন,পি মোট মুটি ১০০% নিশ্চিত হয়ে যায় সরকার পতন সময়ের ব্যাপর মাত্র, এই সময় বি,এন,পি দ্রুত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মিলিত হয়, ও কমিঠির বৈঠক হতে গোপনে দ্রুত আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়, বি,এন,পির ঐ গোপন বৈঠকে আরো নিদের্শ দেওয়া হয়, ৬ ইমে দ্রুত তৃণমুল পর্যায় হতে ব্যাপক হারে কর্মীদের ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য, কিন্তু বি,এন,পির সকল স্বপ্ন মাত্র ১০ মিনিটে পন্ড হয়ে যায়, ভেঙ্গে যায় বি,এন,পি জামাত শিবিরের সব পরিকল্পনা, হেফাজতে ঘাড়ে বসে সরকার পতনের নীলনকশা ও ষড়যন্ত্র মুর্হুতে চুড়ামার হয়ে যায়। হতাশায় মাঝে ঢুবে যায় বি,এন,পির ৬ ই মে সমাবেশের কর্মসুচি, বাতিল করে দেওয়া হয় ১৮ দলীয় সব কর্মসুচি, বাতিল হয়ে যায় নির্বাচনের প্রস্তুতি,
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।