নানারঙ এর চারুবাক শব্দগুলো আদরিনী বিড়ালের মতো
আহলাদী হয়ে খেলা করে আমার ভিতরে।
আমি যেনো এক শীতের সকালের ওম-মাখানো উঠোন,
শব্দেরা রোদ তাপায়, খোশ গল্প করে প্রসন্ন মেজাজে।
নিস্তব্ধ মধ্যদুপুরের ঢিলে যে তরঙ্গ জেগে ওঠে
ঠিক তারই মতো ঢিল পড়ে হৃদয়ের দীঘিতে।
আমি কাঁপতে থাকি ছোট্টবেলার সেই দীঘিটির মতোন।
কখনোবা শব্দেরা বর্ণের মিছিল নিয়ে চলে আসে;
আমি আন্দোলিত হই দ্রোহে, রাজপথ উজাড় করা
বদলে দেয়ার শ্লোগানে।
কালিদাসের কালো মেঘের মতো বিষন্ন কিছু শব্দ
আমাকে গ্রাস করে কোন এক উদাসী সন্ধ্যায়, তারাবিহীন অন্ধরাতে।
আমার ঘর-বিছানা-সিথান জুড়ে অনাথিনী শব্দদের তুমুল কান্না।
পরিযায়ী কতিপয় শব্দ আমাকে আশ্রয়-বৃক্ষ ভেবে
নিরাপদ আবাস গড়ে তোলে শাথা-উপশাখায়।
সন্তানসম সেইসব পথিক শব্দের গায়ে আমি দিয়ে যাই
অকৃপণ আশীষ, স্নেহ-চুম্বন।
আমি অক্ষম, আমি পারিনা, যাদু-বাস্তবতার এই
মায়াবি জগত থেকে পিছু হটতে।
অনাথিনী কষ্টেরা জীবন জুড়ে শুরু করে
সন্তপ্ত-বেদনার্ত কান্না।
শ্বেত-শুভ্র পবিত্র কোন শব্দ আম্মার আঁচলের মতো
জায়নামাজ বিছিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ আমার ভিতরে;
আমি নত হই প্রার্থনায়, নত হই জীবনের
ক্ষুদ্রতা আর দীনতা নিয়ে
অবিনশ্বরের সীমাহীন ক্ষমার প্রত্যাশায়।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।