সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য। আমার চলমান মেইল এড্রেস ঃ shimantodhk2010@gmail.com ,
ঈদের পরেরদিন রাতের বেলা(আনুমানিক ১০.৩০ থেকে ১০.৪৫) আমার ছোট ভাই, তার ফ্রেন্ড, আমার ২ কাজিন ও তার ফ্রেন্ড ধানমন্ডি থেকে ফিরার সময় ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। আপনাদের সাবধান করার জন্য এই পোস্ট দেয়া হলো। আমার ছোট ভাই ইউনিভার্সিটিতে ১ম ইয়ারে পড়ে। এই বয়সের পোলাপাইনদের যা হয় আর কি।
আড্ডা মারা । ঈদের পরের দিন, ক্লাস-টাস নাই। সব বন্ধ তাই তারা সবাই ঘুরতে বাইর হইলো। সবার সাথেই হোন্ডা ছিলো। আমার দুই কাজিনের ও হোন্ডা ছিলো।
আমার ছোট ভাই চালায় হাঙ্ক। তো ঘটনা যা শুনলাম তা ভয়া বহ। ওরা গাল গপ্পো শেষে যার যার মতন বাসায় চলে আসছিলো। আমার কাজিন(মামাতো ভাই) আর দুই ফ্রেন্ডের বাসা শাহজাহানপুরে। আর আমার চাচাতো ভাই এর বাসা আমার পাশেই।
ওরা বেইলী রোডের রাস্তায় চলে যায়। আর আমার ভাই ও চাচাতো ভাই মৌচাকের রাস্তায় দিয়ে বনশ্রী আসছিলো।
এই সময় বেইলী রোডে ওই দুই হোন্ডার উপরে অতর্কিত হামলা চালায় অনেক গুলো যুবক। রাস্তার পাশে থেকে ভারী ইট নিয়ে নিক্ষেপ করে। ভাগ্য ক্রমে আমার মামাত ভাই জোরে হোন্ডা চালাচ্ছিলো তাই সেটা মিস হয়ে যায়।
পিছনে আসছিলো তার ফ্রেন্ডের হোন্ডা ওটার উপরে হামলা করতে সক্ষম হয়। ইট নিক্ষেপে ওই ছেলেটির মাথায় লাগে, সে হোন্ডা থেকে পড়ে যায়। পিছনে সিটে থাকা ছেলেটিও পড়ে যায়। আর সেই যুবকদের দলটি লাঠি দিয়ে ওদের উপরে মাইর শুরু করে। পিছনে থাকা ছেলেটি দেখলো ওরা সংখ্যায় অনেক আর সবার কাছেই মোটর বাইক আছে।
সে পরিস্থিতি বুঝে দৌড়ে কোনো গলির ভিতিরে ঢুকে পড়ে, আর ফোনে সবাইকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু যে ছেলেটি হোন্ডা চালাচ্ছিলো মাথায় আগাত পেয়েছে সে সরে যেতে পারেনি। ওরা তাকে এলোপাথারি মেরে রক্তাক্ত করে।
আমার ছোট ভাই ও চাচাতো ভাই সহ, শাহজানপুর থেকেও আরো অনেক বন্ধুরা চলে আসলো, অতি দ্রুত। কিন্তু তত ক্ষনে যেই যুবকেরা চলে গেছে।
গিয়ে রকতাক্ত অবস্থায় ওকে উদ্ধার করে। ওরা ওকে ইসলামী ব্যাঙ্ক হসপিটালে নিয়ে যায়। কিন্তু কতৃপক্ষ ভর্তি নেয় নি, শেষে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে আমার মা চিন্তায় অস্থির। বার বার ফোন করছে কি হোলো এতো দেরী কেন।
রাত তখন ১২ টা বেজে গিয়েছে। বাসায় আসার পরে ঘটনা জানতে পারি।
বেইলী রোডের এতো মানুষ কেউ কিছুই বুঝার আগেই ওরা ঘটনা ঘটিয়েছে। পথচারীদের অনেকে মনে করেছিলো, বন্ধুরা নিজেদের ভিতরে মারামারী করছে, তাই কেউ এতোটা পাত্তা দেয়নি। পরে আস্তে আস্তে ভীড় জমে যায় ।
পাবলিক এসে জানতে চায় “ ভাই কি হইছে??”। পুলিশ অনেক পরে এসেছে।
ওরা ছেলেটিকে মারার পরে পকেট হাতিয়েছে। কিন্তু মানিব্যাগ ও মোবাইল কিছুই নেয় নি। ঘটনা ঘটেছে সর্বোচ্চ ৩-৪ মিনিটের মধ্যে।
তার পরে দ্রুত হামলা কারীরা চলে যায়। আমি, ভাইকে বললাম নিশ্চয় কোনো শত্রুতা ছিলো। কিন্তু সে জানালো ওর কোনো শত্রু থাকতে পারেনা , নিতান্তই নীরিহ ছেলে। আমি আসলে এটার কোনো সমাধান পেলাম না। কোনো শত্রুতাও নেই, ছিলতাই কারীও নয়, তাহলে এই ভাবে মারলো কেনো।
আমার ভাই বললো ওরা সম্ভবত ড্রিংস করে এসেছিলো। আমি ছোট ভাইকে সাবধান করে দিলাম যেন হেলমেট পরে বাইক চালায়। আল্লাহ কে ধন্যবাদ দিলাম ওর কিছু হয়নি। ভাবতে পারেন ??৮০-৯০ কিমি স্পিডে হোন্ডা চালাচ্ছেন সেই সময় ভারী একটা ইট এসে আপনার মাথায় লেগেছে আপনি হোন্ডা থেকে ছিটকে পড়লেন। কি অবস্থা??
ভাগ্য ভালো যেই ছেলেটির মাথায় ইট লেগেছে সে অনেক স্লো হোন্ডা চালাচ্ছিলো।
ভাইকে সাবধান করে দিলাম হেলমেট পরে বাইক চালাতে। আর আপনাদের ও সাবধান করে দিলাম রাতের বেলা বেইলী রোড দিয়ে সাবধানে চলাচলের জন্য।
ভালো থাকুন সবাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।