আজ মধ্য রাত্রে হিমিকে ফোন করে একটা ধাঁধা জিজ্ঞেস করবো। হিমির অনেক বুদ্ধি। আমার কোনো কিছুই হিমির কাছে গোপন থাকে না। মেয়েটা কিভাবে কিভাবে যেন সব বের করে ফেলে। ধাঁধা টা হবে এই রকম- "এক বৃদ্ধা আজরাইলের হাত থেকে বাঁচতে চায়।
সে একটা কৌশল বের করলো যেন আজরাইল তাকে খুঁজে না পায়। কৌশল কাজ করলো। আজরাইল তাকে খুঁজে পেল না। কৌশল টা কি"?
"Since there is no help,Come let us
kiss and part.
Nay,I have done,you get no more
of me.
And I am glad,yes glad with all my
heart,
That thus so cleanly I myself can be
free."
মহিষের মাংসকে কসাই গরু বলে চালিয়ে দেয়। আমি কি করে বুঝি কোনটা গরু?খুব ঘটনাহীন আমার জীবনযাপন।
সারারাত জেগে থাকি,রাস্তায় রাস্তায় হাঁটা হাঁটি করি,রাস্তার পাশের দোকান থেকে চা খাই,বই পড়ি,না ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখি,মানুষের দুঃখের কথা শুনি,আড্ডাতে চুপ করে বসে থাকি। আড্ডাতে দু-তিন ঘন্টা সময় চলে যায়। আমার বিনোদন শুধু এক টাই। খুব মনোযোগ দিয়ে বন্ধুদের কথা শুনি। এমন অদ্ভুত সব বিষয় নিয়ে কতকিছু বলে এরা,আমি চুপচাপ শুনি।
ভেতরে শিহরন জাগে। নতুন সব তথ্য জেনে কি যে আনন্দ পাই। ভালোবাসা বুঝতে সময় লাগলেও অপছন্দ বোঝা যায় সহজেই। কিন্তু অপছন্দের কোনো কারন খুঁজে পাই না। কিছু মানুষ আমাকে দারুন অপছন্দ করে!যা আমার জন্য অনেক কষ্ট কর!
আমি দেখেছি,মনোজগতে মানুষের কত রকম বিকৃতি থাকে।
আমার ভাবতে কষ্ট লাগে মাত্র কিছু টাকার বিনিময়ে একটা মেয়ে....! আর ছেলেদের চরিত্র মানে সুযোগের অভাব,তা আমি খুব ভালো করেই বুঝি। তবে আমার ভাবতে ভালো লাগে- আমার বুকের বাম পাশে হিমির মসৃন স্পর্শ। যেন অলৌকিক কিছু!আর চুমু'র কথা কি বলব?আচ্ছা হিমি কি জানে চুমু দেওয়ার আগে বলতে হয় ভালোবাসি। আমি হিমির চোখে মুখে দেখতে পাই,শ্যামলা রঙের মুখে পুকুরের শান্ত জলের মতো স্থির এক সৌন্দর্য। একটাই দোষ,রুপের ফরসা আগুন নেই,যা ছেলেদের তাৎক্ষনিক পোড়ায়।
মাঝে মাঝে শান্ত পুকুরের জল নড়ে উঠে। আমি তো ইনোভেটিভ এন্টারপ্রেইনার। অন্যসব মেয়ের মতো হিমি 'না' দিয়ে কথা শুরু করে না। এমন কি ইতিবাচক বিষয়েও।
একদিন বিকেলে এক মেয়ে এসে আমাকে বললো,ধরে নেই মেয়েটার নাম নীলাঞ্জনা- আমার সাথে আজ বিকেলে বাইরে যাবে?আমি বললাম বিকেলে সম্ভব না,আমার কাজ আছে।
নীলাঞ্জনা বললো কখন সময় হবে?নীলাঞ্জনার মুখে এক আকাশ বিস্ময়!আমি বললাম সন্ধ্যায়। মেয়েটা বললো কোথায়?আমি বললাম তুমি'ই ঠিক করো। ফুলার রোড?একটু রহস্য নীলাঞ্জনার কন্ঠে। আচ্ছা ঠিক আছে,আমি বললাম।
এতক্ষনে হিমির কথা একবারও মনে পড়েনি।
সব পুরুষ কি আমার মতোই?নিজের নিশ্চিত ঠিকানা বিস্মৃত হয়ে অহেতুক হাঁটতে যাই ভুল ঠিকানায় !আসলে পুরুষ হলো কুত্তার জাত,ঘরে পোলাও মাংস পেয়েও বাইরের গু'তে মুখ দিবেই। আমার চোখের সামনে ভাসে নীলাঞ্জনার হাত ধরে ফুলার রোডে হাঁটছি। কেমন একটা নিষিদ্ধের হাত ছানি। কোনো কিছুতেই হিমিকে ফাঁকি দেওয়া অসম্ভব। কথার মধ্যবর্তী ফাঁক,খপ করে ধরে বসে তাৎক্ষনিক।
নিরাপদ হলো স্বীকার করে সব খুলে বলা।
পাহাড়ে যেতে হবে। তার চূড়ায় আছে জনমানবহীন নিঃসীম নীরবতা। খুব দুঃখী প্রয়োজন তেমন বিশাল এক ধু-ধু প্রান্তর। যাতে কেউ শুনতে না পায়।
বলতে না পারে,আর কান্না নয় রাজীব নয়। আমার হাত ধরো। আর কোনো ভয় নেই। ভালোবাসি।
(কেউ যদি প্রবলভাবে বিশ্বাস করে তার ভালোবাসা'র ক্ষমতা আছে তাহলে প্রকৃতি তাকে সেই ক্ষমতা দিয়ে দেয়।
কেউ যদি মনে করে তার অনেক কিছু করার ক্ষমতা আছে তাহলে প্রকৃতি তাকে সেই ক্ষমতাও দিয়ে দেয়। শুধু বিশেষ একজনের এক আকাশ সুন্দর পবিত্র ভালোবাসা ছাড়া সম্ভব না। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।