এইসব ভালো লাগে...
ইফতারিখানা কোনমতে খুলি, ফেলিয়া ফরজ নামাজ
হৈ চৈ করি মাঠে ছুটিতেছে গায়ের নবীন সমাজ!
পশ্চিম আকাশ আজিকে সবার নয়ন নিয়াছে কেড়ে
আঁখি চিক্কন- চির-পুরাতন-বাঁকা চাঁদ খুজে ফেরে
হঠাৎ অধরা খেজুর পাতার ফাঁক দিয়া উঁকি দেয়
কি যেন একটা খুশির জোয়ার ধমনীতে বয়ে যায়
ছোটদের মাঝে হৈ হুল্লোড়, কে দেখিল তারে আগে
এ আগে ও আগে এমন দাবীতে মধুর দ্বন্দ্ব লাগে!
বড়রাও যেন ক্ষনিকের তরে ছোটবেলা ফিরে পায়
এমনি করিয়া সেদিনও ইন্দু উঠিত কি ভনিতায়?
গাঁয়ের নওল কিশোরীরা আজ যেনবা বাঁধনহারা
কাঁচভাঙা হাসি, ঠাট্টার রাশি, মুখরিত হয় ধরা!
একটু পরে সে আনন্দমেলা হঠাৎ ভাঙিয়া যায়
ফর্দ লইয়া মর্দ সকল বাজারের পানে ধায়!
দেখিবে তখন ছোটরা হয়তো ফন্দি আটিছে কত
কেমন করিয়া ফাটাবে পটকা পকেটেতে আছে যত!
মেয়েরা তখন ভিতর মহল সাজাইতে বড় ব্যস্ত
আর হৈচৈ-এর সবটাই যেন ছেলেদের কাঁধে ন্যস্ত!
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মেয়েরা রাঙায় হাত
মেহেদী পাতার রঙের মতো গাঢ় হতে থাকে রাত।
এদিকে হেঁসেলে চলিতে থাকে সেমাই-সুজি রন্ধন
ননদ-জায়েতে,বৌ-শাশুড়িতে জোগাইতেছে তার ইন্ধন
তারই সাথে সাথে গলপ-কথা চলিতেছে অবিরাম
একটি রাতের তরেতে যেনবা নিদ্রা হয় হারাম
তবুও মাঝ রাতের দিকে কোলাহল যায় থেমে
কান্ত শ্রান্ত আঁখিযুগলে তন্দ্রা যে আসে নেমে
অবশেষে খুশি, নির্মল হাসি আর লয়ে প্রীতিডোর
দীর্ঘ রজনী পারায়ে আসে সে বহুপ্রতীক্ষিত ভোর!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।