জেলখানাতে যাওয়া প্রত্যেক বালেগ নর-নারীর জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
কালপুরুষদার এই ঐতিহাসিক এবং দেশপ্রেমমুলক কবিতাটি স্টিকি করার জন্য সবাইকে দাবি জানাতে আহবান করছি।
Click This Link
প্রতিবেশী দাদাকে
এই যে দাদা, শুনছেন-
ধুতির কোচাটা কী একটু সামলাবেন!
বাতাসটা আজ বড্ডো বেশী বেগতিক-
বলাতো যায়না, ধূতির কোচা থাকবেতো ঠিক!
দেখলেনতো- সামান্য খোঁচাতেই সব বিচ্ছুরা,
কেমন আপনার পেছনে করলো তাড়া!
লন্ড্রী থেকে সদ্য কাঁচা ফিনফিনে ধূতি,
ভাঁজটা তরতাজা, মনে তাই এতো ফূর্তি!
ছিটেফোটা অভ্রের জ্বলজ্বলে শুভ্রতা,
সবই যে মিথ্যে হলো, বুঝলেন কী দাদা!
মাখালেন কড়কড়ে ধূতি গোবর-কাদায়,
এমন নাজেহাল অবস্থা! কে আর আপনাকে বাঁচায়!
কেতাদূরস্ত ধূতির অহংকারে,
বেশতো ছিলেন স্বর্গের দ্বারে!
ভাঁজে ভাঁজে ছিল অহংকারের টান,
বুঝলেননা কাকে বলে মান-অপমান!
একদা বাঁশ আর কঞ্চির বুঝেও তফাৎ,
যারা বেছে নিয়েছিল বাঙালীর পদপশ্চাৎ;
ধোপে টেকেনি তাদের কোন ইচ্ছা,
লাখো শহীদের রক্তে ভেসে গেছে তাদের শোষনের কেচ্ছা।
রক্তের নেশায় উন্মাদ হয়েছিল যারা একদা- বর্বর হায়েনা,
আত্মঘাতী বোমা হামলায় আজ তারা নিজেদের অস্তিত্ব খুঁজে পায়না।
একাত্তরের সেই বিশ্বস্ত বন্ধুর হাত,
কেউ কি মেনে নেবে? শত্রু হয়ে যদি করে আঘাত!
নির্লজ্জের মতো কেউ যদি দাবী করে,
আমরা যেন আছি তাদেরই ঘরে;
তবে আপনিও বুঝবেন বাঁশ আর কঞ্চির কিঞ্চিত তফাৎ,
যদি পারেনতো এখনই সামলে রাখেন নিজের পদপশ্চাৎ।
ধূতির ভাঁজ হাতে চেপে ধরলেও কুঁচকাবে,
রাস্তা-ঘাটে চলতে সঙ্গত কারণেই ভাঁজ খাবে।
তার চেয়ে বরং বাতাসে উড়ুক ধূতির কোচা,
দুর্বল ভেবে অপরকে কেনইবা দেবেন খোঁচা?
ফুরফুরে মেজাজে নিজ পথে চলুন,
বন্ধুত্বের কথা গর্বের সাথেই বলুন।
রাস্তার যতো সব ধূলি-কাদা,
ধূতির শুভ্রতায় হোকনা বাঁধা;
গায়ে না মেখে এড়িয়ে চলুন,
হঠাৎ ধাক্কা খেলে বুঝিয়ে বলুন।
কারো আঙিনায় অযথা পা মারাবেন না,
শিকার ভেবে উল্লাসে গুলি ছুঁড়বেন না।
ঝড়-জলোচ্ছাস আর সিডোরে,
যে জাতি প্রাণ দিতে পারে অকাতরে,
প্রয়োজনে তারাই অস্ত্র ধরতে জানে,
বাঁচার লড়াইয়ে তারা মরতেও জানে।
স্যালুট কালপুরুষ আপনাকে। আরো এমন কবিতা চাই আপনার থেকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।