‘আমার মেয়ে ফেলানীকে যেভাবে গুলি করে হত্যা করেছে এবং টেনেহেঁচড়ে গরু-ছাগলের মতো নিয়ে গেছে, আমি এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার চাই। ’
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাকে তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করেছে। তাঁরা নানাভাবে চেষ্টা করেছে যেন আমি ভুল বলি। আমি সব জবাবই সঠিকভাবে দিয়েছি। পবিত্র কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে মৃত মেয়ের শপথ করে সত্য জবানবন্দি দিয়েছি।
’
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন তাঁর বাবা নুর ইসলাম ও মামা আবদুল হানিফ। ফেরার পরে প্রথম আলো ডটকমকে এসব কথা বলেন ফেলানীর বাবা। এদিকে যেখানে ফেলানীকে হত্যা করা হয়, সেখানকার আশপাশের ভারতীয় গ্রামবাসীর মধ্যে দুজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহারের সোনারীতে সে দেশের বিএসএফের ১৮১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে গঠিত বিশেষ আদালতে ফেলানীর বাবার সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
এর আগে সকালে ফেলানীর বাবা, মামাসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলটি ভারতের কোচবিহার ছাড়েন।
বিএসএফের কর্মকর্তাদের পাহারায় তাঁদের বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা বাংলাদেশে আসেন।
আমাদের পাটগ্রাম (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় লালমনিরহাটের ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী ক্যাম্প কমান্ডার খাদেমুল ইসলাম ফেলানীর বাবা ও মামাকে গ্রহণ করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।