আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার দেশ কবে উন্নতির মহাসড়কে উঠবে?

বলার মত কিছু থাকতে হবে তো!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে কাজই করতে যান তাতেই বিগত সরকারের অনুগত আমলারা বাধা সৃষ্টি করছে। আমার কথাটি শুনে মনে হলো নাচতে না জানলে উঠোনের দোষের কথাটি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পুরানো আমলাদের দিয়ে নতুন দেশ গড়তে চেয়েছিলেন- সামরিক আর বেসামরিক আমলারা মিলে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রাণ পর্যন্ত হরণ করে নিলো। সঠিক জায়গায় সঠিক লোক বসানো তো মাত্র একমাসের মামলা। আমি সরকারী অফিসগুলোতে প্রায়ই দেখি, শুধু বিএনপিমনা অফিসাররাই নয় জামাতী অফিসার পর্যন্ত বড় বড় চেয়ার দখল করে রেখেছে।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমি তাদেরকে বলতাম যে, আওয়ামী অফিসারগুলো সরিয়ে দিন। আমার বলার আগেই তারা সরিয়ে দিতো। আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী অফিসার লাগবে, এ আর বিচিত্র কি! তবে এক্ষেত্রেও যোগ্য কর্মকর্তা বাছাই করা যায়। সমস্যা হচ্ছে এই যে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতো একই ভুল করছেন। তিনি দলের পরামর্শ শুনছেন না।

সর্বক্ষেত্রে অবিশ্বস্ত আমলাদের উপর নির্ভর করছেন। আমলাদের মধ্যে তিন ধরনের আমলা আছে- (এক) আওয়ামী আমলা, (দুই) জাতীযতাবাদী-জামাতী আমলা এবং (তিন) সুবিধাবাদী আমলা (তারা আওয়ামী লীগের সময় বড় আওয়ামী লিগার, বিএনপির সময় বড় জাতীয়তাবাদী)। এই তিন নম্বর আমলারা শেখ হাসিনাকে ঘিরে রেখেছে বলেই তিনি প্রায়শ:ই ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি তোষামদকারী আর প্রকৃত কাজের লোকের পার্থক্য ধরতে না পারেন তবে তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেয়াই উচিত। কারণ অসংখ্য মানুষ তাঁর দিকে আশায় আশায় চেয়ে আছে যে, শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিতে পারেন।

তিনি যদি না পারেন তাহলে যোগ্য লোকের হাতে প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়ে বাইরে থেকে সমালোচনা করলেই বরং সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।