আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছয় ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এগিয়েছে মহাসেন

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ পরিচালক শাসুদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ ঘূর্ণিঝড় বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ চট্টগ্রামের কাছ দিয়ে খেপুপাড়া-টেকনাফ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।  
চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর মংলা বন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত।
উপকূলীয় জেলা  কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী,  চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর সংকেতের আওতায় থাকবে।  
আর জেলা পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে পাঁচ নম্বর সংকেত প্রযোজ্য হবে।


ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, মহাসেন বুধবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম এবং মংলা থেকে ৬৩৫ কিলেমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মহাসেনের তাণ্ডবে ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কায় সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিন হাজার মুনষ হয়েছে ঘরছাড়া।

  প্রবল ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে মিয়ানমার উপকূলে নৌকাডুবে অর্ধশতাধিক লোকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের ৮২ লাখ মানুষ এই ঝড়ের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।
ঝড় মোকাবেলায় দেশের উপকূলের জেলাগুলোতে ইতোমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি।
বুধবার সকালেই চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও কক্সকাজার বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামাও বন্ধ রয়েছে।
দুপুর থেকে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৩৮টি রুটে নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম ইপিজেড ও কর্ণফুলী ইপিজেডের সব কারখানায় দুর্যোগকালীন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।   উপকূলীয় এলাকাগুলোর স্কুল ছুটি দিয়ে চর ও নিচু এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম আবদুল কাদের বলেন, "ইতোমধ্যে সন্দ্বীপ ও বাঁশখালী উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষদের সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

নিচু এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং চলছে। ”
পটুয়াখালী, কক্সবাজার ও নোয়াখালী থেকেও নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই এসব এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলছে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।