নিতান্তই আজাইড়া মানুষ আমি।
একদা এইখানে থাকিতো দুপুর।
খেলিতো বসিয়া, হাত-পা ছড়াইয়া,
হোউক সে ছেলে, তবু তাহাকে
পড়াইয়া দিয়াছিলো কেহ, সোনার নুপুর!
ছোট ছোট পায়ে উথালি-পাথালী
হাঁটিতো যখন দুপুর,
নরম আকাশ ঝাঁপিয়া নামিতো-
বৃষ্টি টাপুর-টুপুর।
বিনা কোলাহলে-
দুপুর হাসিতো বৃষ্টি দেখিয়া,
মাথা দুলাইয়া আপন মনে
ঘুরিয়া ফিরিতো সে, নিজেরই অক্ষজালে।
হাসিয়া-খেলিয়া আর বুনো ঘাসে পা মাড়াইয়া-
এভাবেই যদি কাটিতো বেলা!
আহা, কাহার নজড়ে পড়িলো বাছা!
দুচোখ ভাঙিয়া নামিলো আঁধার,
শেষ হইলো না দুপুরের খেলা।
চারিদিকে আজি কতই হাওয়া-
আছাড়ি পড়িছে নদীর বুকে,
কখনো গাছের ফাঁকে প্রচন্ড ক্রোশে
বহিছে বায়ু বসন্তসুখে!
দুপুর তাহার দুচোখ বুজিয়া-
ছড়াইয়া দিলো বাহু,
গভীরভাবে টানিতে চাহিলো
বাতাসের মত রাহু।
কোথায় টানিবে? বুকের গহীনে?
সেথা যে নাই আলো!
ভীরুবায়ু তাই গোঁ ধরিলো, যাইবে না আজ বুকের হাঁপড়ে
এই খোলা আকাশই ভালো।
দুপুর জানিলো না, এতো এতো মায়া-
আজ মিছে হইয়া যাইবে!
দুপুর কাঁদিলো না তাই।
কাঁদিয়া উঠিলো বনের পাখিরা
দিয়া দিলো বিদায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।