কবঠ
বাঙ্গালী যে এত নিষ্ঠুর কেন, তাই মাঝে মাঝে ভাবি। এই পর্যন্ত কোন সিটি বা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়যুক্ত হতে পারেনি। কেন? বাঙ্গালীর মুসলিম সেন্টেমেন্টে আঘাত লেগেছে। এই আওয়ামী জালিম সরকারই নাকি হেফাজতের উপর হামলে পড়েছিল। হাজার, হাজার, লক্ষ, লক্ষ শহিদের ভীরে নাকি আওয়ামী সর্মথকরাও হড়িয়ে গিয়েছে।
তারা সবাই এই জালিম সরকারের পতন চায়। পরিবেশ পরিস্থিতি সেই কথাই বলছে। বিরোধী দলিও নেত্রীও এই গনহত্যার বিচার চেয়েছেন। গনহত্যার সঙ্গা যিনি বদলে দিলেন তার দলকেই মানুষ কাছে টানছে। হুজুগ ও হুজুগে বাঙ্গালী সব পারে।
দিনকে রা্ত আর রাতকে দিন করতে। অধিকার বেগম জিয়ার আজ্ঞাবহ দেশীয় দানবাধীকার রক্ষার একমাত্র স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এই ভদ্রলোক আদিলুর রহমান প্রপাকান্ডার হাতিয়ার হিসাবে অধিকারকে ব্যাবহার করে এখন শ্রীঘড়ে।
কিন্তু এই সকল পরিনতির জন্য দায়ী কে? আমি যদি বলি প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই সমস্ত আপদ সৃষ্ট্রি করেছেন। এটি তিনি দুটি অবয়বে তৈরী করেছিলেন ১. আদর্শগত কারণ ২. নিজের সীমাহিন ব্যর্থতা।
সংবিধান সংশোধন করে তিনি মৌলবাদীদের সুরসুরি দিয়েছিলেন। এবং সেই সাথে নিজের দলিও ক্যাডারদের সামাল দিতে ব্যার্থ হয়ে জামাতশিবিরের উপর সমস্ত দোষ বার বার চাপিয়ে দিচ্ছিলেন। দরবেশের দুরদুরান্ত প্রতাপের কাছে তিনি তার ভাবমুর্তি ধরে রাখতে পারননি। বাংলাদেশের যাবতীয় বুড়া লীগ থেকে শিশুলীগ পর্যন্ত সবাই যে যার মত ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছে তিনি কিছুই বলেননি বা তার কথা কেউ শোনেনি। সবক্ষেত্রেই ব্যার্থতা তারই।
বিশ্বজিতের খুনিদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিচারও হয়তো হবে কিন্তু এতে করে আওয়ামী সরকারের লাভ কিছুই হবে না। মিডিয়া যতটা উৎসাহ নিয়ে বিশ্বজিতের হত্যাকান্ডের ধারা বিবরণী প্রচার করেছে বিচার প্রক্রিয়ার বিষয়টি ঠিক সেই ভাবে উঠে আসবে কি? না সেটা হয়তো উঠে আসবে না। আর বিচার প্রক্রিয়ায় খুনের সেই থ্রীলই বা কোথায়! যা স্রোতা দর্শক খাবে। বাঙ্গালী খুন, ধর্ষন ও গুমের টাটকা খবর শুনতে ভালবাসে। ঐশীও বাঙ্গালীর সেই বিনোদনকে চাঙ্গা রাখতেই নিজেকে বলি দিয়েছে ।
এবার ঐশীর পোষ্টমার্টমে বাঙ্গালীর মেলা দিন কাটবে। কিন্তু এর থেকে নিজেরা কিছুই শিখবে না। এই সতের বছরের বাচ্চা মেয়েটা কেন এমন ভাবে বিগরে গেল। তার দেখভালের দায়িত্বে কি কেউ ছিল না। ছিল, তার বাবা মা।
যাদের বাধভাঙ্গা স্নেহের পরিনতি ঐশী। ঐশীর দৃষ্টান্ত গ্রহন না করলে বিভিন্ন আঙ্গিকে ঐশীর আগমন ঘটবে বার বার। এখানে শেখ হাসিনার কোন হাত আছে কিনা তা একমাত্র বিএনপির কুশিলব মাহামুদুর রহমান, আদেলুর রহমান ও ফরহাদ মজাহারই বলতে পারবেন।
১৫ আগষ্ট এর শোক ভুলতে বেগম জিয়ার অবদান বাঙ্গালীর ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। তিনি তার সব জন্মদিন গুলি জলাঞ্জলি দিয়ে ১৫ আগষ্টে এসে থিতু হয়েছিলেন।
তাইতো দেশের প্রায় অর্ধেক জনগন শোক ভুলে নৃত্য ও গীতে জীবনকে রাঙ্গিয়ে তোলে। আজ ২১ আগষ্ট তারেক রহমানের খাৎনা দিবস উদযাপন করা গেলে গ্রেনেড হামলার ভয়াবহতা থেকে মানুষ একটু নিস্তার পেতে পারতো। দেখা যাক প্রতিক্ষার আলোকে জনাব তারেক রহমান মায়ের মতো এগিয়ে আসতে পারেন কি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।