সুখি হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় বিবেক হীন হওয়া।
স্পাইস জেটের কল্যাণে আমাদের কলকাতা টু দিল্লীর ১৮-২০ ঘন্টার জার্নি নেমে এল মাত্র দুই ঘন্টায়। বোনাস হিসাবে পাওয়া গেল বিমানের স্পাইস গার্লসদের আতিথেয়তা । কিন্তু কিছুটা অবাক হলাম যখন আতিথেয়তার জন্য তারা রুপী দাবি করে বসল। এক মগ কফির জন্য দিতে হল ৫০ রুপি।
বিমানে খাবার দাবার ফ্রি দেওয়া হয় জানতাম। কিন্তু এটা সম্ভবত ডোমেস্টিক ফ্লাইট হওয়ায় এখানে সে সুযোগ নেই। এয়ার হোস্টেসকে ইউ আর সো মাইজার বলে মৃদু খোঁচা দিলাম। জবাবে সে একটু মুচকি হাসি উপহার দিয়ে চলে গেল।
বিমানের জানালা দিয়ে মেঘের বিচিত্র শিল্পকর্ম দেখতে দেখতে হারিয়ে যাই আমি ভাবনার জগতে।
আমাদের প্রিয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছিলেন- জ্ঞানার্জনের জন্য প্রয়োজন হলে সুদূর চীন দেশে যাও। কিন্তু আমি বলব , সুদূর চীনে যেতে না পারলেও প্রতিবেশী দেশ ভারতে যাও। কি নেই এই দেশে? শিল্প, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য আর কৃষ্টি-কালচারে ভারত বেজায় সমৃদ্ধ। এ ছাড়া ভারতের ভূপ্রকৃতি, পরিবেশ, আবহাওয়া – জলবায়ু সব কিছুতেই রয়েছে বৈচিত্র্যের ছড়াছড়ি। এ সব নিজের চোখে দেখে কালের সাক্ষী হয়ে থাকা দারুন ভাগ্যের ব্যাপারই বৈকি।
কিন্তু আমার এ হেস্টি ট্যুরে তার কতটুকুই বা দেখার সৌভাগ্য হবে আল্লাহ্ মালুম। কারণ আমার এ ভ্রমণ নির্ভেজাল বিনোদনমূলক নয়, অনেকটা রথ দেখা আর কলা বিক্রি টাইপের! অতএব এ ট্যুর না হয় আমার জন্য রেকি ট্যুর হয়েই থাক- কোন ক্ষতি নেই তাতে। পরে এক সময় সপরিবারে আসা যাবে পর্যটন ভ্রমণে। এম্নিতেই আসার সময় গিন্নী বেজায় মুখ ভার করে বসেছিল। কিন্তু আমাদের ট্যুর প্ল্যান অনুযায়ী পরিবার নিয়ে আসার মত কোন অবস্থা ছিল না বিধায় একাই আসতে হয়েছে আমাকে।
পাইলটের সিট বেল্ট বাঁধার অনুরোধ আমাকে ভাবনার জগত থেকে দিল্লীর আকাশে নিয়ে এল। খেয়াল করলাম- মাথার উপরে এসি তীব্র বেগে ঠাণ্ডা বাতাস ছাড়ছে আর আমি রীতিমত বরফ শীতল হয়ে পড়েছি। ভাবনার জগতে থাকায় এসি কমানোর কথা ভুলে গিয়েছিলাম। গলায় হাল্কা ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। সর্বনাশ! এ ঠাণ্ডা আমাকে ভোগাবে অনেক।
দিল্লী এয়ারপোর্টে অবতরণ করে মুখোমুখি হলাম আরেক বিপরীতধর্মী অভিজ্ঞতার। তীব্র তাপদাহ চলছে দিল্লীতে! এ যেন ফুটন্ত কড়াই থেকে পড়ে গিয়ে একেবারে জ্বলন্ত উনুনে। নাহ, উপমাটা বোধ হয় সঠিক হলনা। দিল্লীর ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সারা শরীরে জ্বালা পড়া শুরু হল। মুখে মনে হল কেউ লু হাওয়া ছুঁড়ে দিচ্ছে অবিরত।
এ তাপমাত্রায় কেউ যদি কাঁচা ডিম প্লেটে ভেঙ্গে রাস্তায় রেখে দেয়, নির্ঘাত তা এক নিমিষে অমলেট হয়ে যাবে।
এয়ারপোর্টে আমাদের রিসিভ করলেন দিপেশ দাদা। তার বাড়ি কলকাতায়। দাদা আমাদের নিয়ে চললেন দিল্লীর হোটেল পাড়ায়।
আস্তে আস্তে দিল্লীর গরমের ঝাঁজ গা সওয়া হতে শুরু করলেও তাপমাত্রার সাডেন ফ্লাকচুয়েশনের কারণে আমি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ি।
বুকে বেশ কফ বাঁধিয়ে ফেলেছি। কাল আবার আমাদের যেতে হবে সড়ক পথে পাঞ্জাব। এ যাত্রায় দিল্লী দর্শন হল না। ফেরার পথে দেখা হবে দিল্লী শহর। কিন্তু কে জানত দিল্লী দর্শন আমার জন্য দিল্লীকা লাড্ডু হয়েই থাকবে।
সে গল্প হবে পরে। আজ একটা জম্পেশ ঘুম দিতে হবে। তার আগে সারতে হবে ডিনার। কিন্তু ডিনারের মেন্যুতে দেখি বসেছে নিরামিষের হাটবাজার! আগেই এসব গল্প শুনেছি বিধায় খাবার সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছুটা মানসিক প্রস্তুতি ছিল। আমি রুটি আর নিরামিষের অর্ডার দিলাম।
রাতে রুটি খাওয়া আমার দীর্ঘ দিনের অভ্যাস। কিছুক্ষণ পর বেয়ারা যা নিয়ে এল তাকে নির্দ্বিধায় রুটির বার –বি –কিউ বলা যায় ! রুটিকে ভাজার পরিবর্তে পুড়িয়ে কয়লা বানিয়ে পরিবেশনের কোন যুক্তিগ্রাহ্য কারণ খুঁজে পেলাম না। এ অখাদ্য এখন না খেয়ে উপায় নেই। কোন রকম খানিকটা মুখে দিয়ে সাড়া দিলাম নিদ্রা দেবীর ডাকে। তবে নিরামিষটা মন্দ লাগেনি।
নানা রকম ডাল আর শাকের মিশ্রণে পনির দিয়ে তৈরি ওটা। এ দেশে খাবারের রেসিপিতে পনিরের ব্যবহার হয় আমাদের দেশের আলুর মত। সুকান্তের ভাষায় বলতে হয়- নিরামিষের রাজ্যে রেসিপি পনিরময়…..।
পরদিন একটা মাইক্রো ভাড়া করা হল দিল্লী টু পাঞ্জাব এন্ড রিটার্ন টু দিল্লী ভায়া রাজস্থান - আজমির - আগ্রা।
সকাল ৯ টায় আমাদের যাত্রা শুরু হল পাঞ্জাব অভিমুখে।
ড্রাইভার ব্যাটা বেশি সুবিধার পড়েনি। সে পথ ভুল করে এক ঘন্টা আমাদের চক্কর খাওয়াল দিল্লীর ভেতরেই।
কিন্তু তার মধ্যে দেখলাম না বিন্দুমাত্র অনুশোচনা কিংবা অপরাধবোধ। এরা এত নাক উঁচু স্বভাবের কেন ? খুব স্বল্প ভাষী সে। পাঁচ কথার জবাব দেয় এক কথায় আর কিছুক্ষণ পর পর গুলের প্যাকেট ছিঁড়ে রেখে দেয় জিহ্বার নীচে ।
এসব ছাইপাশ মুখে দিয়ে উল্লুকটা কি মজা পায় বুঝলাম না। দিপেশ দাদা বলল এটা নাকি বেশ ঘুম প্রতিরোধী। তাই লম্বা জার্নিতে ড্রাইভারেরা এটা চিবাতে ভালবাসে মুড়ি মুড়কির মতন। যদি তাই হয় তবে ব্যাটাকে ক্ষমা করা যায়। কিন্তু ঘুম তাড়াতে কফি ক্যান্ডিও তো ভাল কাজ দেয়।
গুল স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। মুখের ক্যান্সারের অন্যতম কারন এই গুলের ব্যবহার। মনে মনে বললাম- ব্যাটা তুই যা খুশি কর, তাও আমাদের নিরাপদে পাঞ্জাব পৌঁছে দে। কিন্তু পাঞ্জাবের রাস্তা যেন ফুরাবার নয়। সাইট সিইং করতে করতে পাঞ্জাব পৌঁছালাম সন্ধ্যা ছয়টায়।
মাঝ পথে লাঞ্চ সারা হল এক রোড সাইড হোটেলে।
এ দেশে কাঁসার ঢাউস সাইজের থালায় খাবার পরিবেশনের বেশ চল রয়েছে। থালার ভেতরে আবার অনেক গুলো প্রকোষ্ঠ রয়েছে বিভিন্ন পদের আইটেম রাখার জন্য।
এম্নিতেই বুকে ঠাণ্ডা বাঁধিয়ে বসেছি, তার উপর দূরপাল্লার জার্নির ধকলে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে শরীর। তাই কিছুটা শক্তি ফিরে পেতে প্রচুর টক দই খেলাম।
ভারতে মিস্টি দইয়ের বোধ হয় প্রচলন নেই। কোথাও খুঁজে পেলাম না জিনিসটা। তবে টক দইয়ে চিনি মিক্স করে পরখ করে দেখলাম এটা বেশ টনিকের মত শরীরে শক্তি যোগায়। এরপর থেকে যতদিন ভারতে ছিলাম টক দইয়ের স্বাদ নিয়েছি পেট ভরে । ঠেকায় পড়লে বাঘেও নাকি ধান খায়।
আমি খেয়েছি টক দই। দেশে এ জিনিষ চেখে দেখিনি কখনো। কিন্তু এখন অমৃতের মত লাগছে।
এ দেশের প্রতিটা স্টেটই বিশাল বড় বড়। আয়তনে বাংলাদেশের চেয়ে ও বড় একেকটা স্টেট।
এত বড় দেশ চালানো চাট্টিখানি কথা নয়। ভারত সরকারকে তাই মনে মনে ধন্যবাদ না দিয়ে পারলাম না। এখানকার কোন স্টেটই নাকি এককভাবে উৎপাদনে কিংবা অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ং সম্পূর্ণ নয়; একেক জিনিস একেক স্টেটে ভাল পাওয়া যায়। তাই জীবন যাত্রার মান ভাল রাখার স্বার্থে প্রত্যেক স্টেট একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। এত বিশাল একটা দেশের অখণ্ডতার এটাই তাহলে রহস্য! অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি এ দেশে রাজ্য সরকার আছে প্রতিটা রাজ্যে।
পাঞ্জাব রাজ্যটি কৃষি প্রধান এলাকা। যে দিকে চোখ যায় শুধু ধু ধু কৃষিভূমি। লোকালয়ের দেখা মিলে কম। এখানে প্রচুর গমের ফলন হয়। রাস্তার ধারে অনেক গমের মিল দেখলাম।
তাছাড়া প্রানি সম্পদেও এ রাজ্য অনেক উন্নত। এখানে প্রচুর ডেইরি ফার্ম, মহিষ আর অশ্বের খামার রয়েছে।
আমরা অবস্থান করছি পাঞ্জাবের ফরিদকোট এলাকায়। আশেপাশের সব এলাকায় দেখলাম জমি চাষ করে প্রস্তুত করা হচ্ছে নতুন ফসল বোনার জন্য।
পরদিন আমরা একটা অশ্ব ফার্ম পরিদর্শনে গেলাম।
এখানে আছে বেশ কিছু ‘থরোব্রেড’ আর ‘মাড়ওয়ারি’ জাতের ঘোড়া।
থরোব্রেড জাতের ঘোড়া
অনেকের যেমন কুকুর, বিড়াল, ময়না, টিয়া পোষার শখ থাকে; আমার তেমনি ফ্যাসিনেশন কাজ করে ঘোড়ার প্রতি।
হিন্দি সিনেমার নায়কদের কান খাড়া যে সব ঘোড়ার পীঠে সওয়ার হয়ে দাবড়ে বেড়াতে দেখা যায়, সেগুলি এই মাড়ওয়ারি জাতের। ঘোড়াগুলো দেখতে বেশ স্লিম আর হ্যান্ডসাম । তবে উচ্চতা আর লেংথে থরো ব্রেডের চেয়ে এরা একটু শর্ট।
বাংলাদেশি টাকায় এ রকম একেকটা ঘোড়ার দাম পড়বে প্রায় দশ লাখ টাকা। হাতি পোষার প্রবাদটা তো মনে হয় ঘোড়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য!
এই ঘোড়া গুলি মাড়ওয়ারি জাতের
ঘোড়া দেখা শেষে আমরা চললাম সান্ধু ক্যাটেল ব্রিডিং ফার্মে। এটি একটি উন্নত জাতের গরুর দুগ্ধ খামার।
খামারের ২০০ টা গরুর সবগুলোই মাশাআল্লাহ দেখতে বেশ সুন্দর আর নাদুস নুদুস। খামারের লাগোয়া মুক্ত এলাকায় এরা ইচ্ছে মত চরে বেরায়, শুধু খাবারের সময় হলে চলে আসে শেডে।
ক্যাটেল শেডে ইম্প্রভাইসড সিস্টেমে গরুর পানি খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি স্প্রিংক্লার দিয়ে গোসলের ব্যবস্থা ও রয়েছে। গরুগুলো সব ফ্রিজিয়ান জাতের মনে হল।
এদের দুধ দোয়ানো হয় মিল্কিং মেশিন দিয়ে। সেটাও দেখা হল।
এটি একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ খামার।
কোন কিছুই বাইরে থেকে কেনা হয়না। খামারের আছে নিজস্ব ফিড প্রোসেসিং ফ্যাক্টরি।
খামারের মালিক সরবজিত সিং বেশ আন্তরিকতার সাথে আমাদের ঘুরে ঘুরে সব দেখালেন।
তিনি রিটায়ার্ড আর্মি পারসন। বয়স পঞ্চাশ এর উপর হলেও বেশ সুঠাম দেহের অধিকারি।
দেহে এখনো অসুরের শক্তি রাখেন। হাত মেলাতে গেলে হেভভি ঝাঁকুনি দিয়ে শক্তির জানান দিলেন তিনি। তবে দৈহিক ভাবে তিনি যতটা শক্তিশালী , মনের দিক থেকে ঠিক ততোটাই নরম আর উদার। খামারের উপার্জন দিয়ে নিজের পরিবার চালানোর পাশাপাশি তিনি নারীশিক্ষায় অবদান রাখছেন। দশজন মেধাবী ছাত্রীর পড়াশোনার দায়িত্ব তিনি তুলে নিয়েছেন নিজ কাঁধে।
সে গল্প শুনালেন আমাদের। তার ভাষ্য – ‘ আমি এখানে কোন চ্যারিটি করছিনা। মেধাবীদের প্রমোট করছি মাত্র। যারা আমার অর্থ সাহায্য পাচ্ছে তাদের যোগ্যতার মাপকাঠি দারিদ্র্য নয়, মেধা’; সব শুনে লোকটাকে স্যালুট না জানিয়ে কোন উপায় ছিলনা। এভাবে আমাদের দেশেও যদি ধনী ব্যক্তিরা মেধাবীদের সাহায্যে এগিয়ে আসতেন তবে অনেক প্রতিভা অকালে ঝরে পড়ত না।
হাতে গোনা এ রকম দুই এক জন লোক হয়ত দেশেও খুঁজে পাওয়া যাবে, কিন্তু বিষয়টা যদি সব ধনী ব্যক্তিদের মাঝে ছড়িয়ে যেত তবে দেশে শিক্ষার চেহারাটাই আমূল পাল্টে যেত।
সিং জ্বী’র গল্প যেন ফুরোতে চায়না। আপ্যায়ন পর্ব শেষে কৌশলে তাঁকে বিদায় জানিয়ে চলে এলাম হোটেলে। আজ আমার শরীরটা ভীষণ বেয়াড়া হয়েছে। মাথার ভেতর মনে হয় ঝিঁঝিঁ পোকা ঢুকেছে।
সারাটা দিন ঝিম ঝিম করছে খুব। সাথে পুরনো কফ- কাশি তো আছেই। কি যে হল আমার! আজ বড্ড ধকল গেছে শরীরের উপর দিয়ে। শরীর বলছে না বের হলেই পারতে। কিন্তু যাযাবর মন কি আর তাতে সায় দেয়? আগামীকাল আমরা হারিয়ানা- রাজস্থান হয়ে চলে যাব আজমির।
(চলবে)।
বিঃ দ্রঃ আজ আমার মন খুবই বিষণ্ণ । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ( সংশোধন) অধ্যাদেশ -২০১৩ সরকারের মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হয়েছে। এই আইন কার্যকর হলে নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দারুণ ভাবে খর্ব হবে বলে সবাই মনে করছেন। ফেসবুক কিংবা ব্লগে আর আগের মত দিল খোলা করে কেউ নিজের মত প্রকাশ করতে পারবে বলে মনে হয়না।
ভিন্ন মত পোষণ করে কিছু পোস্ট করলেই ৫৭ ধারার প্যাঁচে পড়ে যেতে হবে। চলুন একটু দেখে নেওয়া যাক কি আছে ৫৭ ধারায়ঃ
৫৭ ধারার অপরাধ: ইলেকট্রনিক মাধ্যমে মিথ্যা, অশ্লীল বা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ-সংক্রান্ত অপরাধ এই ধারায় গণ্য হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা ও অশ্লীল কিছু প্রকাশ করলে এবং তার কারণে মানহানি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে।
জানতে চাইলে আইনজীবী শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিনিয়ত আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করছি। আইনে তথ্যের সংজ্ঞায় মিথ্যা, অশ্লীল ও উসকানিমূলক—এ বিষয়গুলো স্পষ্ট করা নেই।
ইন্টারনেটে সত্য ভেবে কোনো তথ্য আদান-প্রদান করা হলো, কিন্তু সেটাকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মিথ্যা বা অশ্লীল বা উসকানিমূলক বিবেচনা করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে পারবে। ফলে ভয়ভীতির কারণে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হবে। ( সুত্রঃ প্রথম আলো)।
অনলাইনে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দিবা স্বপ্ন হয়েই থাকবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।